সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নবান্নে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকে নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এনআরএস কাণ্ডে এবার স্বাস্থ্য ভবনের শীর্ষপদেও রদবদল ঘটল। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার পদ থেকে প্রদীপ মিত্রকে সরিয়ে দিল নবান্ন। ফের ওই পদে ফিরলেন দেবাশিস ভট্টাচার্য। বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে বৃহস্পতিবার।
[আরও পড়ুন: রোজভ্যালি কাণ্ডে তলব, ইডির দপ্তরে পৌঁছলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়]
রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা ছিলেন দেবাশিস ভট্টাচার্য। গত বছরের ২৫ জুলাই তাঁকে সরিয়ে প্রদীপ মিত্রকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সরতে হল তাঁকেও। কিন্তু, কেন? স্বাস্থ্যদপ্তর দেখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। নবান্নে সূত্রে খবর, এনআরএস কাণ্ডের সময়ে জুনিয়র ডাক্তারদের ক্ষোভ প্রশমনের কোনও চেষ্টাই করেননি স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা প্রদীপ মিত্র। তাঁর নির্লিপ্ততায় বিক্ষোভ আরও দীর্ঘায়িত হয়। তার উপর এনআরএস কাণ্ড মিটতেই এসএসকেএম-এ ভরতি হন প্রদীপ মিত্র। বাইপাস সার্জারি হয় তাঁর। তাই আপাতত স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা পদ থেকে প্রদীপ মিত্রকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তর। তাঁর জায়গায় ফের দায়িত্ব নিচ্ছেন দেবাশিস ভট্টাচার্য।
গত মাসে চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগীমৃত্যুর অভিযোগে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে এনআরএস হাসপাতালে। হাসপাতালের এক জুনিয়র ডাক্তারের উপর চড়াও হন রোগীর পরিবারের লোকেরা। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। এনআরএস হাসপাতালেই শুধু নয়, এই ঘটনার প্রতিবাদে নিরাপত্তার দাবিতে রাজ্যজুড়ে কর্মবিরতিতে নামেন জুনিয়র ডাক্তাররা। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে অচলাবস্থা চলে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে। ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়। আন্দোলনরত ডাক্তারদের পাশে দাঁড়ান কলকাতার বিশিষ্টজনেদের একাংশ। অচলাবস্থা কাটাতে আসরে নামতে হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। নবান্নে বৈঠক করে জুনিয়র ডাক্তারদের নিরাপত্তার আশ্বাস দেন তিনি। এরপরই কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেন আন্দোলনকারীরা। এদিকে আবার বৃহস্পতিবারই এসএসকেএম হাসপাতালে ট্রলি না পেয়ে এক কর্মীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয় রোগীর পরিবারের লোকেরা। ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: রেকের আকাল, ঝুঁকি নিয়েই ফের পাতালপথে ছোটা শুরু করল ‘মেধা’]
The post এনআরএস কাণ্ডের জের, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার পদ খোয়ালেন প্রদীপ মিত্র appeared first on Sangbad Pratidin.