শম্পালী মৌলিক: ২০১৬ সালের পোস্তা উড়ালপুল বিপর্যয়ের স্মৃতি আজও কলকাতার স্মৃতিতে অমলিন। ৩১ মার্চ, ঘড়ির কাঁটায় তখন দুপুর ১২টা ২০ মিনিট, গণেশ টকিজ মোড়ে আচমকা ভেঙে পড়েছিল উত্তর কলকাতার পোস্তা ব্রিজ। মৃত্যু হয়েছিল ২৬ জনের, আহত হয়েছিলেন আরও বহু মানুষ। আর গৃহহীন হয়েছিলেন অসংখ্যজন। উড়ালপুলের তলায় স্রেফ চাপা পড়েছিলেন কত মানুষ! সেই মর্মান্তিক ঘটনার প্রেক্ষাপটে করোনা-আবহে সিনেমা বানাচ্ছেন পাভেল। অর্থাৎ বাস্তব মিশে যাবে কাল্পনিক কাহিনিতে। ছবির নাম ‘কলকাতা চলন্তিকা’।
সবসময়ই তরুণ পরিচালক পাভেল সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে কাজ করতে ভালবাসেন। তাঁর প্রথম ছবি ‘বাবার নাম গান্ধীজি’ থেকেই সেটা টের পেয়েছে দর্শক। ইতিমধ্যেই পাভেল ‘কলকাতা চলন্তিকা’-র সিংহভাগ শুটিং করে ফেলেছেন। কাহিনি লিখেছেন স্বাতী বিশ্বাস ও পাভেল যৌথভাবে। কয়েকজন মানুষের জীবনের গল্প গেঁথে তৈরি হয়েছে চিত্রনাট্য।
[আরও পড়ুন: বাপ্পি লাহিড়ীর সুরে প্রথমবার গান গাইলেন ঋতুপর্ণা! আসছে পুজোর অ্যালবাম ‘ফুলমতি’]
একটি গল্পের কেন্দ্রে রয়েছেন অপরাজিতা আঢ্য ও রজতাভ দত্ত। আরেকটায় জুটি বেঁধেছেন ইশা সাহা ও সৌরভ দাস। অন্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন খরাজ মুখোপাধ্যায়, দিতিপ্রিয়া রায়, বিশ্বরূপ বিশ্বাস, শঙ্কর দেবনাথ, অনির্বাণ চক্রবর্তী ও নবাগতা শতাব্দী চক্রবর্তী। এই প্রথমবার বাংলা সিনেমায় আসছেন ইউটিউবার ‘দ্য বং গাই’ অর্থাৎ কিরণ দত্ত। এঁদের চরিত্রগুলো বিভিন্ন আর্থসামাজিক স্তর থেকে উঠে এসেছে। কর্মসূত্রে বা জীবনযাপনের তাগিদে যাদের কোনও না কোনওভাবে শহরের ওই উড়ালপুলের উপর নির্ভর করতে হয়। এই মানুষগুলোর কাহিনি শেষপর্যন্ত কীভাবে এক ঠিকানায় মেলে সেটাই দেখার।
ওই ফ্লাইওভার দুর্ঘটনা অসংখ্য মানুষের জীবনের গতিপথ আমূল বদলে দিয়েছিল, সেই বাস্তব ঘটনা ধরে বর্তমান অতিমারী আবহকে মাথায় রেখে চিত্রনাট্য-সংলাপ বুনেছেন পাভেল। নিঃসন্দেহে অত্যন্ত মানবিক একটি কাহিনি বেছে নিয়েছেন তিনি। সারা কলকাতার ছবিটা এই সিনেমায় উঠে আসবে পাভেলের চোখ দিয়ে। ক্যামেরায় থাকছেন সুব্রত মল্লিক। শতদ্রু চক্রবর্তী প্রযোজিত ছবির কাস্টিং-ই বলে দিচ্ছে, শক্তিশালী অভিনেতারা এই ছবির ভরকেন্দ্র।