ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: অসমে তৃণমূলের সংগঠনকে মজবুত করতে এবার 'সাংগঠনিক পর্যালোচনা কমিটি' গঠন করল তৃণমূল। শুক্রবার এই তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে অসম তৃণমূল কংগ্রেস। নয়া এই কমিটিতে রাখা হয়েছে ৮ জন সদস্যকে। এখানে চিফ কোঅর্ডিনেটরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তৃণমূল নেতা দুলু আহমেদকে। পাশাপাশি আহ্বায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তৃণমূল নেতা তড়িৎ চক্রবর্তীকে।
অসমে সংগঠন বাড়াতে দীর্ঘদিন ধরেই তৎপর তৃণমূল। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে অসমে বেশ খানিকটা শক্তিক্ষয় হয়েছে ঘাসফুলের। লোকসভা ভোটে অসমের চার আসনে তৃণমূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও জয় আসেনি। এর পর রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব ছেড়ে দেন রিপুণ বোরা। সেই পদে এখনও কাউকে না আনা হলেও ইনচার্জের দায়িত্বে আনা হয় বাংলার আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর তৃণমূলে যোগদান করেন অসম জাতীয় পার্টির কার্যকরী সভাপতি দুলু আহমেদ। তাঁকেই এবার সাংগঠনিক পর্যালোচনা কমিটির প্রধানের দায়িত্ব দিল তৃণমূল।
তৃণমূলের তরফে জানা যাচ্ছে, নয়া এই কমিটি অসমের প্রতিটি জেলায় ঘুরে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলবেন এবং ঘাসফুলের সাংগঠনিক শক্তি খতিয়ে দেখবে। এবং সেই অনুযায়ী দলকে রিপোর্ট জমা দেবে। পাশাপাশি কীভাবে দুর্বল জায়গায় দলকে শক্তিশালী করা যায় সে বিষয়ে পরামর্শ দেবে এই ৮ সদস্যের কমিটি। যেখানে দুলু আহমেদকে কমিটির প্রধান করার পাশাপাশি আহ্বায়ক করা হয়েছে তড়িৎ চক্রবর্তীকে। এছাড়া কমিটির বাকি ৬ সদস্য হলেন, অতুল দত্ত, শিশির দেব কলিতা, বাবুল সোনোওয়াল, তপন কলিতাল, রবার্ট নরজরে ও সঞ্জীব মহন্তকে। তৃণমূলের তরফে জানা যাচ্ছে, এই কমিটির রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে পুনরায় রাজ্যে নয়া কমিটিগুলি গঠন করা হবে।
২০২৬ সালে অসমে বিধানসভা নির্বাচন। অর্থাৎ হাতে অনেকটাই সময় রয়েছে। তার ক্ষত সারিয়ে নব উদ্যমে মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়তে চায় তৃণমূল। মলয় ঘটক দায়িত্ব নেওয়ার পর এবার সেই কাজে জোরকদমে ঝাঁপিয়ে ঘাসফুল শিবির।