সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যোগী রাজ্যে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু বিশেষভাবে সক্ষম যুবকের! পুলিশের বিরুদ্ধে শারীরিক অত্যাচারের অভিযোগ তুলেছে পরিবার। পুলিশকর্মীদের মারধর সহ্য করতে না পেরেই নাকি ওই যুবক জেলে বিষপান করেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে হাসাপাতালে নিয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ভাগপত জেলায়।
জানা গিয়েছে, বছর আঠাশের মৃত যুবকের নাম প্রবীণ কুমার। তিনি বুধেরা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। পরিবার সূত্রে খবর, প্রবীণ বিশেষভাবে সক্ষম ছিলেন। এলাকার এক আইনজীবী তাঁর বিরুদ্ধে চুরির মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সকালে প্রবীণকে আটক করে নিয়ে যায় ভাগপত জেলার পুলিশ।
[আরও পড়ুন: কেজরির গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল দিল্লি, আটক দুই আপ মন্ত্রী]
মৃতের আত্মীয়দের দাবি, প্রবীণ নির্দোষ ছিলেন। কিন্তু হেফাজতে তাঁর উপর অত্যাচার চালান পুলিশ আধিকারিকরা। যা সহ্য করতে না পেরে জেলেই বিষ খেয়ে নিয়েছিলেন প্রবীণ। বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। তখন তাঁকে একটি স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান স্থানান্তর করা হয় মিরুটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় প্রবীণের।
এর পরই পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন প্রবীণের পরিবার ও এলাকার লোকজন। পরিস্থিতি যাতে উত্তপ্ত হয়ে না ওঠে তার জন্য বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয় মৃতের গ্রামে। এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন, ভাগবত জেলার ডিএসপি হরিশ সিং ভাদুরিয়া জানান, “জানা গিয়েছে, জেলে থাকাকালীন প্রবীণের শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল না। তাই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তিনি হেফাজতে থাকাকালীনই বিষ খেয়েছিলেন কিনা তা আমরা এখনই বলতে পারব না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে সবটা জানা যাবে। সেই সময় থানায় উপস্থিত সব পুলিশকর্মীদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”