রূপায়ন গঙ্গোপাধ্যায়: দলের যুব সংগঠন যুব মোর্চায় অভ্যন্তরীণ কোন্দল মেটাতে খুব শীঘ্রই বিক্ষুব্ধদের ডাকতে পারেন বিজেপির (BJP) শীর্ষ নেতৃত্ব। যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ-র উপস্থিতিতে সেই বৈঠকে বিক্ষুব্ধ যুব নেতাদেরও রাখা হবে বলে খবর। বৈঠকে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী থাকতে পারেন।
মৌমিতা সাহাকে যুব মোর্চার রাজ্য সম্পাদক করায় সৌমিত্র খাঁয়ের (Soumitra Khan) বিরুদ্ধে দলের যুব কর্মীদের ক্ষোভের আঁচ চরমে। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছেও পৌঁছেছে সৌমিত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ। সৌমিত্র ‘একনায়কতন্ত্র’ চালাচ্ছেন। নতুন আসা যুব নেত্রীদের গুরুত্বপূর্ণ দ্বায়িত্ব দিচ্ছেন। অথচ পুরনোদের ব্রাত্য করে রাখা হচ্ছে। এমনই অভিযোগ তুলে সরব যুব মোর্চার রাজ্য নেতৃত্বের একাংশ।
[আরও পড়ুন: Coal মাফিয়া লালার বিরুদ্ধে CBI তদন্তের দাবিতে পৃথক মামলা দায়ের কলকাতা হাই কোর্টে]
এমন পরিস্থিতিতে যুব মোর্চার বিক্ষুব্ধ কয়েকজনের সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠকে করলেন যুব মোর্চার পর্যবেক্ষক তথা রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজুর বক্তব্য, “সবার কথা শুনেছি। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে।” সূত্রের খবর, যুব মোর্চার নেতৃত্বের মধ্যে ঝামেলা মেটাতে পার্টির শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশেই এদিন ক্ষুব্ধ যুব নেতাদের কয়েকজনের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি। পার্টির তরফে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করা হল বলেই মনে করা হচ্ছে। মৌমিতা সাহাকে রাজ্য যুব-র সম্পাদক করায় সৌমিত্র খাঁ-র বিরুদ্ধে দলের হোয়াটস আপ গ্রুপে যাঁরা সরব হয়েছিলেন তাঁদের গ্রুপ থেকে বের করে দিয়েছিলেন সৌমিত্র। তাঁদের সঙ্গেই এদিন কথা বলেন রাজু।
সূত্রের খবর, যুব সভাপতির কাজকর্ম নিয়ে একরাশ ক্ষোভ তারা উগড়ে দিয়েছেন রাজু বন্দোপাধ্যায়ের কাছে। পুরো বিষয়টি নিয়ে দিলীপ ঘোষ ও অমিতাভ চক্রবর্তীর সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে দলীয় সূত্রে খবর। যত দ্রুত সম্ভব যুব মোর্চার অভ্যন্তরীণ গণ্ডগোল মেটাতে চাইছে বিজেপি নেতৃত্ব।