সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি বছর গোড়ার দিকে কোভিড (COVID-19) নিয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছিল দেশবাসী। ছন্দে ফিরছিল গোটা দেশ। কিন্তু মাস দুয়েক পরই পরিস্থিতির বিপুল পরিবর্তন ঘটে। আছড়ে পড়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। লাফিয়ে বাড়তে থাকে সংক্রমিত ও মৃতের সংখ্যা। হাসপাতালের বেড থেকে অক্সিজেনের অভাবে চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। তাঁদের হাহাকারে দমবন্ধ করা পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেই বিভীষিকা কাটতে না কাটতেই আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আগস্টেই কোভিডের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়বে বলে সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু ঠিক কতখানি ভয়াবহ হবে এই তৃতীয় ঢেউ? কোথায় এর দাপট হবে সর্বোচ্চ? সে বিষয়ে এবার আলোকপাত করল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR)।
ICMR-এর একটি গবেষণা বলছে, দেশের যে সমস্ত জেলা করোনার (Corona Virus) দ্বিতীয় ঢেউয়ে দারুণভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে, তৃতীয় ঢেউ সেই জেলাগুলিতে হয়তো বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারবে না। তবে এর জন্য সজাগ থাকতে হবে জেলাগুলিকেও। করোনার কোনও নয়া ভ্যারিয়েন্টে কেউ আক্রান্ত কি না এবং কোভিডে জেলার সার্বিক মূল্যায়ন করা অত্যন্ত জরুরি। তথ্য ও পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করেই প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করা সম্ভব হবে।
[আরও পড়ুন: ৪৮ ঘণ্টায় বাংলায় ফের ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা, জেনে নিন কোন কোন জেলায় জারি সতর্কতা]
ICMR-এর তরফে সমীরণ পাণ্ডা জানান, মারণ ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ায় বিধ্বস্ত হয়েছিল মহারাষ্ট্র। কিন্তু সেখানে তৃতীয় ঢেউ সেভাবে দাপট দেখাতে পারবে না। যদিও পুরোটাই নির্ভর করছে তারা সংক্রমণ রুখতে কী ধরনের পদক্ষেপ করবে। পাণ্ডার কথায়, “মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জেলায় করোনার প্রকোপ ছিল ভিন্ন। তাই গোটা রাজ্যই যে তৃতীয় ঢেউ থেকে অনেকখানি সুরক্ষিত, তেমনটা বলা যাবে না। তবে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিলে সংক্রমণ অনেকটাই আটকানো সম্ভব হবে।”
এদিকে গত ১৪ জুন থেকে ৬ জুলাইয়ের মধ্যে করা ICMR-এর সেরো সার্ভে বলছে, ১১ টি রাজ্যে দুই তৃতীয়াংশ মানুষের মধ্যেই তৈরি হয়েছে করোনার অ্যান্টিবডি। যে তালিকার শীর্ষে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ (৭৯%)। তালিকায় আছে কেরল, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, বিহার, গুজরাট, ছত্তিশগড়, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু ও ওড়িশা।