অর্ণব আইচ: দীপাবলিতে যেন কষ্ট না পায় শহরের পশুরা। সেদিকেও যেন নজর দেন শহরবাসী। তাই শহরবাসীদের দায়িত্বের সঙ্গে দীপাবলি পালন করতে অনুরোধ করেছে লালবাজার। এই বিষয়ে টুইটও করেছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। একই সঙ্গে সোমবার এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে কুকুরদের নিয়ে বাঁশদ্রোণী থানার উদ্যোগে অভিনব মিছিল হল শহরে।
[জঙ্গি দমনে ফের সাফল্য, সোপিয়ানে ২ জেহাদিকে নিকেশ করল সেনা]
কলকাতা-সহ রাজ্যে শব্দবাজি নিষিদ্ধ। এই বছর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাত আটটা থেকে দশটার বেশি আতশবাজিও পোড়ানো যাবে না। লালবাজারের কর্তাদের মতে, বেআইনিভাবে শব্দবাজি ফাটালে অথবা নির্ধারিত সময়ের বাইরে গিয়ে আতশবাজি ফাটালে দূষণের কারণে কষ্ট পেতে পারে পশুপাখিরা। বিশেষ করে কালীপুজো ও দীপাবলির সময় কুকুরদের অবস্থা সঙ্গিন হয়ে ওঠে। বাড়ির কুকুর হোক বা রাস্তার, শব্দবাজির শব্দে তাদের অসুবিধা হয়। এমনও দেখা গিয়েছে, বাড়ির কুকুর বাজির শব্দে ঘরের কোনায় গিয়ে লুকিয়েছে। আবার রাস্তার কুকুররা প্রচণ্ড শব্দবাজির শব্দে ভয় পেয়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু করেছে, এমনও দেখা যায়। এ ছাড়াও শহরের অন্যান্য পশু ও পাখিরাও অসুবিধার মধে্য পড়ে। বিশেষ করে আতশবাজির কারণে বায়ুদূষণের শিকার হয় পাখিরা। সেই কারণেই সোশ্যাল মিডিয়ায় লালবাজারের পক্ষ থেকে শহরবাসীকে সতর্কও করা হয়েছে। একটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে, যাতে একটি কুকুর শহরবাসীকে বলছে, ‘এটি আমাদেরও দীপাবলি। দায়িত্বের সঙ্গে দীপাবলি পালন করুন।’
এদিকে, এদিন বাঁশদ্রোণী থানার উদ্যোগে ও একটি এনজিও-র সহায়তায় কুড়িটি কুকুর নিয়ে অভিনব মিছিলের আয়োজন করেন। এই মিছিলে এদিন শামিল হন এলাকার দু’শোর উপর বাসিন্দা। ছিলেন ১১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরও। তাঁদের মতে, শব্দবাজি ফাটালে মানুষ যতটা অস্ত্বস্তিতে পড়ে, তার চেয়ে অনেক বেশি অসুবিধা হয় কুকুরের। ৯০ ডেসিবেল শব্দই তাদের কানে এসে পৌঁছয় ৯০০ ডেসিবেল হয়ে। অনেকে কুকুরের লেজে বাজি বেঁধে আনন্দ পান। এই ধরনের কাজ করে যাতে কেউ আনন্দ না পান, তার জন্যও সচেতন করা হয়। এভাবে কুকুর বা কোনও পশুকে কষ্ট দিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
[ক্যামেরুনের বোর্ডিং স্কুল থেকে অপহৃত ৮০ জন পড়ুয়া]
The post আলোর উৎসবে ‘শব্দদৈত্যের’ আতঙ্ক, প্রতিবাদে পথে সারমেয়রা appeared first on Sangbad Pratidin.