সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্ণাটক বিবাদে ইতি। মুখ্যমন্ত্রী পদে সিদ্দারামাইয়া, উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শিবকুমার (DK Shivkumar)। বহু আলোচনার পর এই সিস্টেমে রাজি করানো গিয়েছে দুই শিবিরকেই। কিন্তু কোন জাদুতে রাজি হল দুই বিবাদমান শিবির? এর নেপথ্যে নাকি রাহুল গান্ধীর হাতযশ! এমনটাই দাবি করেছেন রণে ভঙ্গ দেওয়া ডিকে শিবকুমার।
কর্ণাটকের হবু উপমুখ্যমন্ত্রী সাফ বলছেন, রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) তাঁকে নির্দেশ দিয়েছেন বলেই তিনি উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ গ্রহণে রাজি হয়েছেন। যদিও কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছিল, শিবকুমারকে রাজি করাতে দফায় দফায় তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। মাঝরাত অবধি আলোচনা করেছেন তিনি। আবার রাহুলও বারবার তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু তাতেও সমাধান সূত্র বেরোয়নি। শেষে হস্তক্ষেপ করতে হয় সোনিয়া গান্ধীকে। কিন্তু সোনিয়ার (Sonia Gandhi) হস্তক্ষেপের কথা সরকারিভাবে স্বীকার করেননি ডিকে। তিনি পুরো কৃতিত্ব দিচ্ছেন রাহুলকেই।
[আরও পড়ুন: ওহ লাভলি! টলিউডে পা রেখেই সুপারস্টার, সুইমিংপুলে ‘মদনদা’র ‘নায়িকা-বিলাস’]
উপমুখ্যমন্ত্রী পদ গ্রহণ করা ইস্যুতে ডিকে বলেছিলেন,”কখনও কখনও অনেক শক্ত বরফকেও গলতে হয়। কংগ্রেস কর্ণাটকের মানুষকে কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেই প্রতিশ্রুতি রাখতে হবে। আমাকে গান্ধী পরিবার এবং সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির কাছে মাথা নোয়াতেই হত।” ডিকে এখন বলছেন, তিনি মাথা নুইয়েছেন রাহুল গান্ধীর নির্দেশে।
[আরও পড়ুন: চাকরি ফেরতের দাবি, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে ববিতা]
ওয়াকিবহাল মহল অবশ্য বলছে, এটা আসলে ঘুরিয়ে রাহুলকে দলের অবিসংবাদী নেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠা করারই কৌশল। ডিকে অন্য বিরোধী দলগুলিকে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন, রাহুল গান্ধীর সিদ্ধান্তহীনতা নিয়ে যে ‘বদনাম’ রয়েছে, সেটা আসলে সত্যি নয়। এখনও তাঁর নির্দেশ মেনে চলে কংগ্রেসের সর্বস্তরের নেতারা।