সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অরবিন্দ কেজরিওয়ালদের সুর এবার এম কে স্ট্যালিনের গলায়। দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার (Manish Sisodia) গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে এবার তিনিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখলেন। মমতা-কেজরিওয়ালদের সুরে সুর মিলিয়ে স্ট্যালিনের অভিযোগ, সিসোদিয়ার গ্রেপ্তারি আসলে তাঁর ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ। অবিলম্বে তাঁকে মুক্তি দিতে হবে।
ডিএমকে নেতা প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে বলেছেন, “যেভাবে মণীশ সিসোদিয়াকে গ্রেপ্তার করা হল, এবং তাঁকে যন্ত্রণা দেওয়া হচ্ছে তাতে আমি হতবাক, স্তম্ভিত। এক্ষেত্রে সব আইনি প্রক্রিয়া ভুলে, সব পদ্ধতি ভুলে শুধু কেন্দ্রের শাসকদলের ব্যক্তিগত ইচ্ছা চরিতার্থ করা হচ্ছে। আপনার কাছে আমার অনুরোধ, এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিন। ইডির মতো সংস্থার সুনাম ফিরিয়ে দিন। এবং সিসোদিয়াকে মুক্তি দিন।”
[আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষায় আপত্তি ছিল আত্মীয়দের, সৌদিতে মেট্রোর সারথী হায়দরাবাদের সেই মেয়ে]
সিসোদিয়ার গ্রেপ্তারি নিয়ে স্ট্যালিনের এই চিঠি দেশের বিরোধী রাজনীতির নিরিখে রীতিমতো তাৎপর্যপূর্ণ। আসলে স্ট্যালিনের আগে দেশের প্রথম সারির ৯ জন বিরোধী নেতা একই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছিলেন। তাতে নাম ছিল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal), তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান, বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব, এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব, ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুখ আবদুল্লাহদের। আর অবশ্যই নাম ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেই তালিকায় কোনও কংগ্রেস নেতা বা ডিএমকে নেতার নাম ছিল না।
[আরও পড়ুন: চুরি হতে পারে পোষ্য, মোরগের জন্য পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে থানায় হাজির মহিলা]
আসলে পাঞ্জাব এবং গুজরাটের নির্বাচনের পর কংগ্রেস এবং আপের মুখ দেখাদেখি বন্ধ। মণীশ সিসোদিয়ার গ্রেপ্তারিকে ঘুরিয়ে সমর্থনই করেছে কংগ্রেস। মমতারা যখন সিসোদিয়ার গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে মোদিকে চিঠি দিলেন সেসময় রাহুল গান্ধীদের বিশ্বস্ত জোটসঙ্গী হিসাবে পরিচিত ডিএমকে-কে চিঠিতে সই করতে দেখা যায়নি। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণভাবে স্ট্যালিন এবার আলাদা করে মোদিকে চিঠি দিলেন। যার অর্থ কংগ্রেসের অবস্থান থেকে সরে এল ডিএমকেও। বস্তুত স্ট্যালিন এবার মমতাদের সুরেই সুর মেলালেন। যা আগামী দিনে জাতীয় রাজনীতিতে নয়া সমীকরণের ইঙ্গিত হতে পারে।