সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যে কোনও মৃত্যুই বেদনাদায়ক। তবু একটি মৃত্যুর জন্য আরেকটি মৃত্যুর ঘটনা বেদনা বাড়ায় বৈ কমায় না। তেমনই এক ঘটনার সাক্ষী থাকল রাজস্থান (Rajasthan)। সেরাজ্যে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা (Suicide) করলেন এক চিকিৎসক (Doctor)। ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তাঁর গাফিলতিতে মৃত্যু হয়েছে গর্ভবতী এক মহিলার। ওই অভিযোগে হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখান মৃত মহিলার পরিজনরা। থানায় অভিযোগও দায়ের করেন। মনে করা হচ্ছে, অপমান সয্য না করতে পেরে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত অভিযুক্ত চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজস্থানের দৌসা (Dausa) জেলায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে আত্মহত্যা করেন ওই মহিলা চিকিৎসক অর্চনা শর্মা (Archana Sharma)। হাসপাতালটি অর্চনা ও তাঁর স্বামী চালাতেন। সেখানেই ভরতি হয়েছিলেন গর্ভবতী এক মহিলা। সম্প্রতি চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোগীর মৃত্যু হয়। এরপরেই পরিজনরা অভিযোগ করেন, কর্তব্যরত চিকিৎসক অর্চনার গাফিলতিতেই মৃত্যু হয়েছে গর্ভবতীর। এই নিয়ে হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। এরপর রাতে স্থানীয় লালসট থানায় (Lalsot Police Station) অর্চনার বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR) দায়ের করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে অর্চনাকে পুলিশ আটকও করেছিল। গর্ভবতীর মৃত্যুর বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
[আরও পড়ুয়া: রাশিয়ার থেকে কেনা অপরিশোধিত তেল ভারতের দুই সংস্থাকে বিক্রি করল ONGC]
যদিও চিকিৎসক বারবার দাবি করেছিলেন, অসুস্থ গর্ভবতী মহিলাকে বাঁচানোর জন্য সাধ্য মতো চেষ্টা করেছিলেন তিনি। দুর্ভাগ্যক্রমে তা সম্ভব হয়নি। মহিলার মৃত্যুর জন্য কোনওভাবেই তিনি দায়ী নন। তবে সেকথা শুনতে চায়নি মৃত গর্ভবতীর পরিজনরা। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে হাসপাতাল বিল্ডিংয়ের উপরের একটি ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন চিকিৎসক অর্চনা শর্মা।
[আরও পড়ুয়া: মূল্যবৃদ্ধির ক্ষতে প্রলেপ! সরকারি কর্মচারীদের DA বাড়াল কেন্দ্র]
দৌসার অতিরিক্ত এস পি লাল চাঁদ কয়াল (Lal Chand Kayal) বলেন, “রোগীর পরিজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে চিকিৎককে আটক করেছিলাম আমরা। আজ হাসপাতালের উপরে অবস্থিত একটি ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”