সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সমকামিতা কোনও অপরাধ নয়, ঐতিহাসিক রায় দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ভারতের হাজারও সমকামী দম্পতি তাদের বৈধ যৌনতার অধিকার পেয়ে গিয়েছেন। কিন্তু আমাদের সমাজ কি এখনও সেই চিরন্তন ট্যাবু কাটিয়ে উঠতে পেরেছে? প্রশ্নটা আরও একবার মাথাচাড়া দিল দিল্লির এক চিকিৎসকের কীর্তিতে। চিকিৎসক হওয়া সত্ত্বেও সমকামিতাকে স্বাভাবিক প্রবণতা হিসেবে মানতে নারাজ তিনি। তাঁর মত অনুসারে সমকামী সম্পর্ক আসলে জেনেটিক ডিসঅর্ডারের ফলে সৃষ্ট মানসিক রোগ।
[চ্যানেলের লাইভ অনুষ্ঠানে বিজেপি ও সমাজবাদী নেতার হাতাহাতি]
পি কে গুপ্তা নামে ওই চিকিৎসকের লাইসেন্স আগেই বাতিল করেছিল দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিল। ডিএমসির তরফে জানানো হয়েছে, ওই চিকিৎসক সমকামিতাকে মানসিক রোগ হিসেবে বর্ণনা করেন। মানসিক এবং জেনেটিক সমস্যা ঠিক করার জন্য বিভিন্ন রকমের হরমোন প্রয়োগ করতেন রোগীদের উপর। সমস্যার সমাধান না হওয়ায় তাদের ইলেকট্রিক শকও দেওয়া হয়। এই অভিযোগে লাইসেন্স কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি আদালতে মামলাও করে ডিএমসি।
[সমকামিতা কোনও অপরাধ নয়, ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের]
কিন্তু, ২০১৬ সালে লাইসেন্স বাতিল হওয়ার পরও সমকামীদের উপর সমানে এই মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছিলেন ওই চিকিৎসক। যার ফলে বাধ্য হয়ে দিল্লি হাই কোর্ট ওই চিকিৎসককে সমন পাঠিয়েছে। জানা গিয়েছে, পি কে গুপ্তা সমকামিতাকে রোগ হিসেবে বর্ণনা করতেন, প্রথমে মানসিকভাবে সমকামীদের বিষম যৌনতায় উৎসাহিত করতেন। তাতে কাজ না হলে তাদের উপর উত্তেজক হরমোন প্রয়োগ করতেন। তাতেও কাজ না হলে চলত ইলেকট্রিক শক। গোটা ঘটনা সামনে আসার পর ওই চিকিৎসকের মানসিক সুস্থতা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।অন্যান্য চিকিৎসকরা বলছেন, এই কাণ্ড ঘটিয়ে তিনি যে শুধু সমকামীদের উপর অত্যাচার চালিয়েছেন তাই নয়, সেই সঙ্গে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের নিয়মাবলীও ভেঙেছেন। যেভাবে সমকামীদের চিকিৎসার কথা বলা হচ্ছে, এভাবে ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোর করে যৌনতায় বাধ্য করা অপরাধ।
The post সমকামিতা ‘জেনেটিক ডিসঅর্ডার’! রোগীদের ইলেকট্রিক শক দিচ্ছেন চিকিৎসক appeared first on Sangbad Pratidin.