shono
Advertisement

বাঁশি গিলে বিপত্তি! শিশুর প্রাণ বাঁচালেন মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা

কাশির সঙ্গে শোঁ শোঁ আওয়াজ!
Posted: 04:18 PM Nov 13, 2018Updated: 04:18 PM Nov 13, 2018

অভিরূপ দাস: বাঁশি বাজাতে গিয়ে প্রাণসংশয়। অস্ত্রোপচার করে আট বছরের শিশুর প্রাণ বাঁচালেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকরা। শিশুটির শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

[ শান্তি চেয়ে জুটল মার, ছেলের নামে অভিযোগ দায়ের মহিলার]

ঘটনাটি ঠিক কী? নদিয়ার হোগলবেড়িয়ায় বাড়ি রিমা খাতুনের। বয়স আট বছর। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, বারো দিন আগে বাজাতে গিয়ে একটি বাঁশি গিলে ফেলেছিল রিমা। কিন্তু ভয়ে বাড়িতে কাউকে সেকথা জানায়নি সে। কিন্তু ঘটনাটি চাপা থাকেনি। কারণ ঘটনার কয়েকদিন পর থেকে প্রবল কাশি শুরু হয় শিশুটির। সঙ্গে শোঁ শোঁ আওয়াজ। আর দেরি করেননি পরিবারের লোকেরা। রবিবার রাতে রিমাকে কলকাতার মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসেন তাঁরা। মেডিক্যাল কলেজে রিমার বঙ্ক্রোস্কপি করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার ফুসফুসে আটকে গিয়েছিল বাঁশিটি। শুধু তাই নয়, ফুসফুসে পৌঁছনোর পর সেটি আবার তিন টুকরো হয়ে গিয়েছিল। ইএনটি বিভাগের প্রধান রামানুজ সিনহার অধীনে ভরতি হয় রিমা খাতুন। মঙ্গলবার সকালে অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসক সৌমিক দাস। মিনিট চল্লিশের অস্ত্রোপচারে শিশুটির ফুসফুস থেকে বের করা হয় বাঁশিটি। রিমার শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। স্বস্তিতে পরিবারের লোকেরাও।

বাঁশি গিলে ফেলার ঘটনা নতুন নয়। আর যেহেতু ফুঁ দিয়ে বাজাতে হয়, তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গিলে ফেলার পর বাঁশি আটকে যায় ফুসফুসেই। কিন্তু, রিমা খাতুনের ক্ষেত্রে বিপদ আরও বেশি ছিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাঁদের বক্তব্য, বাঁশিটি ফুসফুসের অনেক গভীরে ঢুকে গিয়েছিল। সচরাচর এমনটা হয়নি। তাই অস্ত্রোপচারে দেরি হলে অঘটন ঘটতে পারত।

[ পরিবেশ আদালতের নিষেধাজ্ঞা না মেনে রবীন্দ্র সরোবরে চলছে ছটপুজোর প্রস্তুতি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement