সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যৌনতাকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক কেরিয়ারে উন্নতি করেছেন কমলা হ্যারিস! এমন অশালীন পোস্ট দেখা গেল ডোনাল্ড ট্রাম্পের সোশাল মিডিয়ায়। এক দলীয় সমর্থকের পোস্ট নিজের সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। তার পর থেকেই তোপের মুখে পড়েছেন ট্রাম্প। এহেন পরিস্থিতি হ্যারিসকে 'নরকে যাও' বলে বিপদ বাড়িয়েছেন ট্রাম্পের রানিং মেট জেডি ভ্যান্স।
দীর্ঘদিন আগে ক্যালিফোর্নিয়ার স্টেট অ্যাসেম্বলির স্পিকার উইলি ব্রাউনের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন কমলা হ্যারিস। যদিও সেই সম্পর্ক টেকেনি। কিন্তু সেই অতীত সম্পর্ক টেনে এনে কুরুচিকর আক্রমণ শুরু করেছে রিপাবলিক শিবির। ট্রাম্পের শেয়ার করা ওই পোস্টে সাফ লেখা রয়েছে, রাজনৈতিক কেরিয়ারে উন্নতির জন্য যৌনতাকে কাজে লাগিয়েছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট। রাজনীতিতে উন্নতি করার জন্য কমলার হাতিয়ার ছিল মুখমেহন! ওই পোস্টের কমেন্টে কমলা এবং ব্রাউনের সম্পর্ক নিয়ে নোংরা ইঙ্গিতও করেন এক রিপাবলিকান সমর্থক।
[আরও পড়ুন: হিজাব বিদ্রোহের ধাক্কা সামলানোর ‘কৌশল’? প্রথম মহিলা সরকারি মুখপাত্র পেল ইরান]
তবে এই প্রথমবার নয়, এর আগেও কমলার বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে ট্রাম্প এবং তাঁর দলের নেতাদের। তার জেরে ইতিমধ্যেই মহিলা ভোটারদের কাছে অপছন্দের পাত্র হয়ে উঠেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। যদিও ডেমোক্র্যাটদের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলার তরফে এমন আক্রমণ দেখা যায়নি। নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে ট্রাম্পের বিরোধিতা করলেও তা শালীনতার সীমা ছাড়ায়নি।
তার মধ্যেই হ্যারিসকে 'নরকে যাও' বলে বিতর্কে জড়িয়েছেন ট্রাম্পের রানিং মেট ভ্যান্স। ২০২০ সালে আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহারের সময়ে ১৩ জন মার্কিন সৈনিকের মৃত্যু হয়। সেনা প্রত্যাহার নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্ত তুমুল সমালোচিত হয়েছিল সেসময়ে। কিন্তু দিন কয়েক আগে প্রয়াত সৈনিকদের স্মরণসভায় গিয়েছিলেন ট্রাম্প। তাঁর এই কর্মসূচি নিয়ে তোপ দাগেন কমলা। তার পালটা দিতে গিয়েই ভ্যান্স বলেন, যদি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সরব হতে চান কমলা তাহলে উনি নরকে যেতে পারেন। সেই মন্তব্য নিয়েও চলছে তুমুল বিতর্ক।