অরূপ বসাক, মালবাজার: একেই বলে ভাগ্যের ফের। কপালের জোরে লটারির টিকিট কেটে রাতারাতি মাংস বিক্রেতাই হয়ে গেলেন কোটিপতি। ডুয়ার্সের (Dooars) নাগরাকাটা ব্লকের শুলকাপাড়ার ছাড়টন্ডুর মেচপাড়ার বাসিন্দার ভাগ্যবদল। মা ও ছেলের সংসারের এবার হাল ফিরবে, এই আশাতেই বুক বাঁধছেন ভাগ্যবান।
ডুয়ার্সের নাগরাকাটা ব্লকের শুলকাপাড়ার ছাড়টন্ডুর মেচপাড়ার বাসিন্দা শ্যাম শৈব্য। চা বাগান ও বস্তিরহাটে মাংস বিক্রি করেন তিনি। মা ছাড়া আর কেউই নেই তাঁর। শুক্রবার শ্যাম শৈব্য অন্যান্য দিনের মতো মাংস বিক্রি করতে গিয়েছিলেন গ্রাসমোর চাবাগানের হাটে। সেই হাটেই লটারির টিকিট বিক্রি করতে গিয়েছিল লুকসানের বাসিন্দা মাণিক রায়। হাটের পড়ন্ত বেলায় শ্যাম শৈব্য ১৫০ টাকা দিয়ে ২৫টি লটারির টিকিট কেনেন। রাত সাড়ে আটটা নাগাদ অজানা একটি নম্বর থেকে শ্যাম শৈবের কাছে ফোন আসে। তার কাটা টিকিটটি এক কোটি টাকার প্রথম পুরস্কার পায়।
[আরও পড়ুন: শান্তিনিকেতনের বাগানবাড়ি ‘অপা’র মালিক পার্থ ও অর্পিতাই, প্রকাশ্যে এল দলিল]
এই খবর শুনে কার্যত হতচকিত হয়ে যান শ্যাম শৈব্য। খানিকটা ধাতস্থ হওয়ার পর লটারির টিকিট নিয়ে ফলাফল মিলিয়ে দেখেন। এরপর সোজা নাগরাকাটা থানায় গিয়ে টিকিট জমা দেন শ্যাম। তিনি বলেন, “ভাবতেই পারিনি এমন হবে। রাতেই খবর পাই আমার টিকিটটি কোটি টাকা পুরস্কার জিতেছে। রাতেই থানায় গিয়ে টিকিট জমা দিই। রাত ১১টা নাগাদ বাড়ি ফিরলাম। টাকা হাতে আসায় ব্যবসার শ্রীবৃদ্ধি হবে বলেই আশা। তারপর দেখি কি করা যায়।” শ্যাম শৈবের মায়ের গলায় অন্য সুর। তিনি চান, লটারির টাকায় বাড়ি তৈরি করুন শ্যাম। বিয়ে করে হয়ে উঠুন সংসারী।
লটারির টিকিট বিক্রেতা মাণিক রায় বলেন, “গত ৭-৮ বছর ধরে লটারির টিকিট বিক্রি করে আসছি। মাঝে ছেড়ে দিয়েছিলাম। আবার গত ১৫দিন থেকে শুরু করেছি। শুক্রবার গ্রাসমোর হাটে আমি টিকিট বিক্রি করতে গিয়েছিলাম। শ্যামবাবু ১৫০ টাকা দিয়ে ২৫ টিকিটের সিরিজ কিনেছিলেন। রাতেই নাগরাকাটার এজেন্ট মারফত খবর পাই আমার বিক্রি করা টিকিটটি প্রথম পুরস্কার পেয়েছে। খুব ভাল লাগছে। আমিও সাব সেলার হিসাবে প্রায় ৫৬ হাজার টাকা পাব। এর আগেও আমার বিক্রি করা টিকিটে ৯০হাজার টাকা পেয়েছে।”