সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনায় রাজি কৃষকরাও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) প্রস্তাবের পরই সুর নরম করল কৃষক সংগঠনের সংযুক্ত মোর্চা। শনিবার ৪০টি কৃষক সংগঠনের যৌথ মঞ্চ সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে,”কৃষকরা এতদূর থেকে দিল্লিতে সরকারের দ্বারে এসেছে শুধু নিজেদের নির্বাচিত সরকারকে নিজেদের সমস্যার কথা জানাতে। সুতরাং কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা না করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।” যদিও, কৃষক সংগঠন গুলি আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছে, কৃষি বাতিল ছাড়া কোনওভাবেই আন্দোলন প্রত্যাহার করা হবে না।
শনিবার সর্বদল বৈঠকে কৃষি আইন (Farmers Protest) ইস্যু নিয়ে বিরোধীদের আশ্বস্ত করার সবরকম প্রচেষ্টা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জানিয়ে দিয়েছেন, কৃষকরা চাইলে এখনও তাঁর সরকার এই বিতর্কিত আইন (Farm Laws) সাময়িকভাবে স্থগিত করে রাখতে রাজি আছে। বিরোধী সাংসদদের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন,”আমরা কৃষকদের এই আইন স্থগিত রাখার যে প্রস্তাব দিয়েছিলাম তা এখনও আছে। আমার সরকার এখনও ১৮ মাসের জন্য এই আইন প্রত্যাহারে প্রস্তুত।” মোদি জানান, “কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর (Narendra Singh Tomar) এখনও কৃষকদের ফোনের অপেক্ষায়। আমরা কৃষকদের এও বলেছি যে, আইন প্রত্যাহার ছাড়া বিকল্প কোনও প্রস্তাব থাকলে, আপনারাও সেই প্রস্তাব রাখতে পারেন।” আসলে গতকাল সর্বদল বৈঠকে বিরোধীদের মাধ্যমে কৃষকদের কোর্টে বল ঠেলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ফলে একপ্রকার বাধ্য হয়েই পালটা বিবৃতি দিতে হয়েছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চাকে। তারা একদিকে যেমন জানিয়ে দিয়েছে, আগের মতোই সরকারের সঙ্গে আলোচনার রাস্তা খোলা আছে, তেমনই আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছে, আইন প্রত্যাহার ছাড়া সরকারের অন্য কোনও পদক্ষেপেই আন্দোলন প্রত্যাহার করা হবে না।
[আরও পড়ুন: কৃষক আন্দোলনে যোগ না দিলে মোটা টাকা জরিমানা! পাঞ্জাবের গ্রামে জারি ফতোয়া]
সরকারের সঙ্গে আলোচনার বার্তা দিলেও দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছে কৃষক সংগঠনগুলি। তাঁদের দাবি, দিল্লি পুলিশ শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে আক্রমণে উসকানি দিচ্ছে। স্থানীয়দের নামে বিজেপি সমর্থকরা হামলা চালাচ্ছে নিরীহ বিক্ষোভকারীদের উপর। এদিকে, সাধারণতন্ত্র দিবসের ঘটনার তদন্তে দিল্লি পুলিশ রীতিমতো আগ্রাসী মেজাজে। ইতিমধ্যেই সেদিনের ঘটনায় ৩৮ টি এফআইআর দায়ের হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছেন ৮৪ জন। এছাড়াও ১৩ জন কৃষক নেতাকে নোটিস দেওয়া হয়েছে। এঁদের মধ্যে রাকেশ টিকায়েতের নামও রয়েছে।