shono
Advertisement

দলীয় নেতৃত্বের উপর অভিমান, বেচারামের পদত্যাগ ঘিরে দিনভর টানাপোড়েন

প্রকাশ্যে সিঙ্গুরের বিধায়কের সঙ্গে কোন্দল।
Posted: 09:35 PM Nov 12, 2020Updated: 09:35 PM Nov 12, 2020

স্টাফ রিপোর্টার: হরিপালের তৃণমূল বিধায়ক বেচারাম মান্নার (Becharam Manna) ইস্তফা নিয়ে বিস্তর নাটক চলল দিনভর। বুধবার রাতেই বিধায়কের ঘনিষ্ঠরা জানান, জেলায় দলীয় সিদ্ধান্ত ঘিরে নেতৃত্বের ব্যবহারে বেচারাম আঘাত পেয়েছেন। তাই তিনি ইস্তফা দিয়ে দেবেন। সাংবাদিক বৈঠক করে সবটা খুলে বলারও ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। তারপর তাঁর ঘনিষ্ঠরাও সমস্ত পদ থেকে পদত্যাগ করবেন বলে জানান। এরপর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয় নাটক। খবর আসে দুপুরে বিধানসভায় গিয়ে পদত্যাগ করে এসেছেন বিধায়ক। খবর যায় দলীয় নেতৃত্বের কাছে। তারা তাঁকে বুঝিয়ে ঠাণ্ডা করতে তৃণমূল ভবনে ডেকে পাঠান। রাত পর্যন্ত সেই প্রক্রিয়া চলেছে। তবে আঘাত পাওয়া বেচারামের মন কতটা ভিজল তার আঁচ মেলেনি। এতসব নাটকীয় কাণ্ডের পর আর তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি। মেসেজের জবাবও দেননি।

Advertisement

গোটা ঘটনা নিয়ে হুগলি (Hooghly) জেলার কোর কমিটির মুখপাত্র উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল মুখ খুলেছেন। বলেছেন বেচারামের ইস্তফা দেওয়ার বিষয়টি তিনিও শুনেছেন। তাঁকে বোঝানোর পালাও চলছে। তাঁর কথায়, “বেচারাম মান্না বলেছেন নানারকম ক্ষোভ অভিমানে বিধায়কের পদ ছেড়ে দিতে চলেছেন। দলের মধ্যে আলোচনা করে সময় দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু বারবার বেচারাম বলেছেন তার প্রতি অবিচার হয়েছে। তিনি বিধায়কের পদে কাজ না করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন।” তবে বিধানসভায় যাওয়ার আগে বেশ কয়েকবার ফোনে কথা হলেও বেচারাম মান্নাকে বিরত করা যায়নি বলে জানান প্রবীরবাবু।

[আরও পড়ুন: বিহারের ফলে চাঙ্গা বঙ্গ কমরেডরা, কানহাইয়া-তেজস্বী জুটিকে দিয়ে প্রচারের ভাবনা সিপিএমের]

সম্প্রতি নতুন হুগলি জেলা কমিটি ঘোষণার পর থেকে তৃণমূলের (TMC) দলীয় কোন্দল চরমে পৌঁছয়। নতুন কমিটিতে সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যর (Rabindranath Bhattacharya) অনুগামীরা স্থান না পাওয়ায় বিধায়ক প্রকাশ্যে দলত্যাগের হুঁশিয়ারি দেন। জেলাস্তরে দলে অন্যায় চলছে বলে তোপ দাগেন। অভিযোগের তির ছিল বেচারাম মান্নার দিকে। কিন্তু দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসার পর তা রাজ্য নেতৃত্ব পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তড়িঘড়ি ড্যামেজ কন্ট্রোলের জন্য ময়দানে নামেন বেচারাম ঘনিষ্ঠ অনুগামীরা। বুধবার নতুন জেলা কমিটিতে স্থান পাওয়া বেচারাম অনুগামীরা রবীন্দ্রনাথবাবুর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে প্রণাম করেন। বৃহস্পতিবার বিজয়া সম্মেলনীর আমন্ত্রণ জানান। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভাইরাল হয়ে যায়। কিন্তু পরে বিজয়া সম্মেলনীর অনুষ্ঠান রাতের দিকে বাতিল করে দেওয়া হয়।

জানা যায়, ততক্ষণে নতুন মোড় নিয়েছে পরিস্থিতি। জেলায় দলের একাংশের দাবি, রাজ্য নেতৃত্ব পুরো বিষয়টি জানতে পেরে আরও একটি পদক্ষেপ নেয়। সিঙ্গুরের তৃণমূল সভাপতি পদে গোবিন্দ ধাড়াকে সরিয়ে মহাদেব দাসকে ব্লক সভাপতি করার কথা বলা হয়। সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয় বেচারাম আর এবার টিকিট পাবেন না। এরপরই পরিস্থিতি বিগড়ে যায়। বিধায়ক একরোখা হয়ে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন। সিঙ্গুরে কৃষক আন্দোলনে বর্ষীয়ান রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের পাশাপাশি বেচারামেরও কৃতিত্ব রয়েছে। ভোটের বছরের আগে কাউকেই তাই হারাতে চায় না দল। এই পরিস্থিতিতেই ফের আসরে নামে নেতৃত্ব।

[আরও পড়ুন: হাতে ‘করোনাসুর’-এর মুণ্ড,মুখে সাবধানবাণী, বাজির বিরুদ্ধে অভিযানে স্বয়ং ‘মা কালী’]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement