সুব্রত বিশ্বাস: কীভাবে ঘটল শিয়ালদহের দুর্ঘটনা? তদন্ত শেষে দুর্ঘটনার প্রাথমিক কারণ জানিয়ে দিল রেল। তাদের দাবি, সিগন্যালিংয়ে বিভ্রাট হয়নি। বরং কারশেডগামী ট্রেনটি সিগন্যাল মানেনি। তাই ওই ট্রেনের চালককে ইতিমধ্যে সাসপেন্ড করা হয়েছে। চালক মদ্যপ ছিলেন কি না, তাও খতিয়ে দেখছে রেল।
প্রাথমিক তদন্ত শেষে রেলের তরফে জানানো হয়েছে, নির্দিষ্ট দূরত্ব অবধি গিয়ে কারশেডগামী ট্রেনটিকে থামতে বলা হয়েছিল। কিন্তু ট্রেনের চালক সেই কথা মানেননি। কারশেডগামী ট্রেনটি রাণাঘাটগামী ট্রেনের বগিতে ধাক্কা মারে। এর শাস্তিস্বরূপ চালককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভুয়ো শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করুন’, SSC-কে নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের]
কারশেডগামী ট্রেনটির চালক অভিজিৎ কুমার প্রভাকর। মদ্যপ ছিলেন কি না, তাঁর মানসিক অবস্থা কীরকম ছিল, তা খতিয়ে দেখছে রেল। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত চালক অভিজ্ঞ ছিলেন না। তিনি ছিলেন নবীশ অর্থাৎ শান্টার। প্রশিক্ষণ নিয়ে কিছুদিন আগে কাজে যোগ দিয়েছিলেন ওই চালক। আপাতত ট্রেন কারশেডে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্বে ছিলেন।
অভিযোগ উঠছিল, ইন্টারলকিং কেবিন বা আরআরআই কেবিনে সমস্যা ছিল। কিন্তু রেলের তরফে সেই অভিযোগ অস্বীকার করে রেল জানিয়েছে, আরআরআই কেবিনে সমস্যা ছিল না। এদিকে রেলের কর্মী সংগঠনগুলির অভিযোগ, আরআরআই কেবিনে গ্রুপ ডি-র কর্মীদের কাজ করানো হয়। যাদের সেই কাজের অভিজ্ঞতা নেই। এক্ষেত্রেও সেরকম কোনও ঘটনা ঘটেছে কি না তাও দেখা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: নদিয়ার TMC নেতা খুন: পুলিশের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট, বিধানসভায় ফিরহাদ হাকিমের দ্বারস্থ মৃতের স্ত্রী]
রেল সূত্রে খবর, নির্দিষ্ট সময়েই প্ল্যাটফর্ম ছেড়েছিল রানাঘাট লোকালটি। ওটি চলে যাওয়ার পর ফাঁকা ট্রেনটি কারশেডে যাওয়ার কথা ছিল। একই সময়ে দুটি ট্রেন চলে আসায় ঘটে দুর্ঘটনা। জানা গিয়েছে, দু’টি ট্রেনের লাইন বদল করার জায়গাটা সংকীর্ণ। সেখানে দু’টি ট্রেনের মধ্যে ধাক্কা লাগে। তাই একটি ট্রেনের চাকা লাইনের বাইরে বেরিয়ে যায়। গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। তাদের তরফে প্রাথমিক রিপোর্ট মিলেছে।