অর্ণব আইচ: রোগী সেজে অ্যাম্বুল্যান্সে করে গাঁজা পাচারের চেষ্টা। হেস্টিংস থানা এবং লালবাজারের গোয়েন্দা পুলিশের যৌথ উদ্যোগে বানচাল ছক। হেস্টিংস থেকে গ্রেপ্তার দুই অভিযুক্ত। বাজেয়াপ্ত অ্যাম্বুল্যান্স। কোথায় গাঁজা পাচার করা হচ্ছিল, আর কারাই বা জড়িত রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতেরা হল ভোলানাথ সিং এবং অলোক কুমার সাহু। ভোলানাথ মেদিনীপুরের বাসিন্দা। অপর ধৃত অলোক কুমার সাহু ওড়িশার খুরদা রোডের বাসিন্দা। অলোক ওড়িশা থেকে কলকাতায় আসে মঙ্গলবার। চার হাজার টাকা দিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া নেয়। ভোলানাথ তার মালিককে জানায়, বাইপাসের কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে রোগী নিয়ে যেতে হবে। অলোকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ভোলানাথের। ভোলানাথ গাড়ি চালাচ্ছিল। অলোক রোগী সেজে বেডে শুয়েছিল। পাশে ছিল ব্যাগ। ভোররাতে নীল আলো জ্বালিয়ে, সাইরেন বাজিয়ে অতি দ্রুত অ্যাম্বুল্যান্স চালিয়ে যাচ্ছিল তারা।
[আরও পড়ুন: অনুব্রতর জামিন মামলায় সিবিআইকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ হাই কোর্টের]
এদিকে, হেস্টিংস থানা এবং লালবাজারের গোয়েন্দাদের কাছে খবর ছিল ওই অ্যাম্বুল্যান্সে করে গাঁজা পাচার করা হচ্ছে। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে হেস্টিংস মোড়ের কাছে অ্যাম্বুল্যান্সটিকে আটকানো হয়। এরপর তল্লাশি চালিয়ে ওই অ্যাম্বুল্যান্স থেকে ৩টি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। ওই ব্যাগের ভিতরে কী আছে, তা দেখতে গিয়ে চক্ষু ছানাবড়া তদন্তকারীদের। ওই তিনটি ব্যাগ থেকে প্রায় ৫০ কেজি গাঁজা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। দুই পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছেন তদন্তকারীরা।
এই ঘটনায় একাধিক প্রশ্নের ভিড়। গাঁজা কোথায় পাচার করা হচ্ছিল, আর কেউ গাঁজা পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিল কিনা, তা এখন জানা যায়নি। তদন্তকারীরা এমনই নানা তথ্যের খোঁজ শুরু করেছে। অভিযুক্তদের জেরা করে পাচার সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলেই মনে করছে পুলিশ।