সুব্রত বিশ্বাস: শিয়ালদহগামী (Sealdah) পদাতিক এক্সপ্রেসে যাত্রী মহিলা চিকিৎসককে মারধরের অপরাধে কলকাতা পুলিশের এক কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করল সাঁইথিয়া রেল পুলিশ। ঘাটনার সময় কনস্টেবল মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বলেই অভিযোগ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার গভীর রাতে ডাউন পদাতিক এক্সপ্রেসের (Padatik Express) এই ঘটনায় মহিলা যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। ওই মহিলা চিকিৎসকের অভিযোগ, ট্রেনে আরপিএফ বা জিআরপি কাউকে তিনি দেখতে পাননি। আরপিএফ একক মহিলা যাত্রীদের নিরাপত্তায় সহেলি নামের সহযোগিতা শুরু করেছে। এর ফলে নিয়ম অনুযায়ী, যাত্রা করা স্টেশন থেকে অন্তিম স্টেশনে নিরাপত্তা দেবে আরপিএফ। কিন্তু মহিলার করা অভিযোগে এই প্রকল্প নিয়েও বড়সড় প্রশ্ন উঠে গেল। এই খবর সামনে আসার পর রীতিমতো আতঙ্কে অন্যান্য যাত্রীরাও।
[আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় কৌশলী পোস্ট জিতেন্দ্র তিওয়ারির, রাজনৈতিক মহলে তুঙ্গে জল্পনা]
উল্লেখ্য, বর্ধমান হাসপাতালের চিকিৎসক মোনালিসা মজুমদার নতুন কর্মস্থল নিউ কোচবিহার থেকে ফিরছিলেন। মঙ্গলবার বিকেলে পদাতিক এক্সপ্রেসে চড়েন তিনি। রাতে লোয়ার বার্থে ঘুমোচ্ছিলেন। হঠাৎ বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে যায় তাঁর। দেখেন, উপরের বার্থের যাত্রী মদ্যপ অবস্থায় তাঁর উপর চড়াও হয়েছে। তিনি প্রতিবাদ করলে তাঁকে কিল, ঘুসি মারা হয়। হইচই শুনে অন্য যাত্রীরা ছুটে আসেন। মদ্যপ যাত্রীকে ধরে ফেলেন। এরপর রামপুরহাট স্টেশনে ট্রেনটি এলে যাত্রীরা তাকে রেলপুলিশের হাতে তুলে দেন। রেল পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত যাত্রী কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল। নাম রণজিৎ সিনহা। ডাক্তারের অভিযোগের মামলা দায়ের করে গ্রেপ্তার করা পুলিশকে আদালতে তোলা হয়।