সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হেথায় জলে মরাল চলে, মরালি তাঁর পাছে রে… ছোটবেলায় এই অতি পরিচিত কবিতার লাইনটি যখন পড়েছিলেন তখন ভেবেছিলেন কি? যে এই হাঁসের জলকেলিতেই বাড়ছে অক্সিজেন, আর তা থেকে সুবিধা পাচ্ছে জলের মাছ। যদি, না ভেবে থাকেন তাতে আপনার কোনও দোষ নেই, কারণ বিজ্ঞানীরাও এ তত্ত্ব আবিস্কার করতে পারেননি। আবিস্কার করেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। বিপ্লব দেবের দাবি, হাস জলে খেলা করলে নাকি অক্সিজেন বাড়ে।
[জিনস-কার্গো পরে কাজে নয়, আমলাদের ফতোয়া বিপ্লবের]
গত রবিবার পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় রুদ্রসাগর নামের একটি কৃত্রিম ঝিলে নৌবাইচের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই নৌবাইচের উদ্বোধনে গিয়ে এই বেফাঁস মন্তব্যটি করে বসেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। বিপ্লব বলেন, “আমি আশেপাশের বাসিন্দাদের ৫০ হাজার দেশি হাঁস উপহার দেব। জলাশয়ে যখন ৫০ হাজার হাঁস ঘুরবে সেই দৃশ্য সত্যিই সুন্দর লাগবে, সেই সঙ্গে অক্সিজনেও রিসাইকেল হবে।” এরপর অক্সিজেন কীভাবে তৈরি হবে তারও ব্যাখ্যা দেন বিপ্লব। তিনি বলেন, “হাঁসেরা যখন জলে সাঁতার কাটে তখন সয়ংক্রিয়ভাবে জল রিসাইকেল হয়। এর ফলে মাছেরা আরও বেশি অক্সিজেন পাবে। তাছাড়া হাঁসের মলমূত্র থেকেও উপকার পাবে মাছেরা। সার্বিকভাবে মৎস্যচাষে উন্নতি হবে, মাছেরা দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। তাও আবার সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে।”
[অক্সিজেনের ফুরিয়ে যাওয়ায় অ্যাম্বুল্যান্সে মৃত্যু পাঁচ বছরের শিশুর]
গতকাল বিপ্লবের এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই হাসির রোল উঠেছে নেটদুনিয়ায়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, হাঁস জলাশয়ে চলাফেরা করলে মাছের উপকার হয় ঠিকই কিন্তু বিপ্লব যেভাবে বলছেন তা বিজ্ঞানের অপব্যাখ্যা ছাড়া কিছুই নয়। এর আগেও একাধিকবার বেফাঁস মন্তব্য করে হাসির খোরাক হয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। প্রথমে বলেছিলেন, সেই মহাভারতের যুবে ইন্টারনেট এবং স্যাটেলাইটের ব্যবহার জানত ভারত। তারপর বলেন, গৌতম বুদ্ধ জাপান গিয়েছিলেন পায়ে হেঁটে। এরপর বিপ্লবের বচন ছিল, মিস ওয়ার্ল্ড হওয়ার যোগ্যতাই ছিল না জায়না হেডেনের। বারবার সমালোচিত হওয়া সত্ত্বেও বিপ্লব কিন্তু ক্ষান্ত দেননি।
The post ‘হাঁসের সাঁতারে অক্সিজেন বাড়ে’, ফের হাসির খোরাক ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী appeared first on Sangbad Pratidin.