শুভময় মণ্ডল, নয়াদিল্লি: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি বিরোধিতার সুর চড়িয়ে শাসকের চৌকাঠে ধরনায় বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি রাজধানীর যন্তরমন্তরে ধরনা কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী৷ যেখানে হাজির থাকবেন বিরোধী জোটের রথী-মহারথীরা৷ তবে, এই কর্মসূচির আগেই বড় ধাক্কা বিরোধীদের৷ সূত্রের খবর, আগামী ১৪ তারিখ গুজরাট সফর থাকায় বিরোধীদের পরিকল্পিত স্ট্র্যাটেজি মিটিংয়ে উপস্থিত নাও থাকতে পারেন রাহুল গান্ধী৷ এবং কংগ্রেস সভাপতির অনুপস্থিতিতে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বিরোধীদের সেই পূর্ব ঘোষিত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক৷
[মরণোত্তর ভারতরত্ন ফেরাচ্ছেন ভূপেন হাজারিকার ছেলে! ]
ঘোষিত ধরনা কর্মসূচির জন্য মঙ্গলবার নয়াদিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বুধবার সকালে সংসদ ভবনে যাবেন তিনি৷ সেখানে বিভিন্ন বিরোধী দলের সাংসদদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তৃণমূল নেত্রী৷ তাঁদের সকলকে আমন্ত্রণ জানাবেন ধরনা মঞ্চে৷ এরপর দুপুর একটা নাগাদ দিল্লির বঙ্গভবন থেকে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে সাকেতে জিটিএ ভবনের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই সাংবাদিক বৈঠকও করতে পারেন মমতা। এরপর ওইদিন দুপুর তিনটে নাগাদ যন্তর-মন্তরে ধরনা কর্মসূচির সূচনা করবেন তৃণমূল নেত্রী৷ যেখানে উপস্থিত থাকবেন যুব তৃণমূল সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ দলের অন্য সাংসদরাও৷ সূত্রের খবর, মমতার ধরনা মঞ্চে যেতে পারেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী ও একাধিক শীর্ষ কংগ্রেস নেতা৷ রাজধানীর দরবারে বিরোধী জোটের ঐক্য প্রদর্শনে ধরনা মঞ্চে উপস্থিত থাকবে সমাজবাদী পার্টি, বিএসপি, এনসি, টিডিপি, এনসিপি-সহ সমস্ত বিজেপি বিরোধী দলের শীর্ষ নেতা এবং প্রতিনিধিরা৷ তবে মমতার ধরনায় যোগ দিচ্ছে না বামেরা৷
[ভোররাতে দিল্লির হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, দ্রুত বাড়ছে মৃতের সংখ্যা]
এই ধরনা ছাড়াও আগামী দু’দিনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ঘটতে চলেছে রাজধানীর বুকে৷ লোকসভা নির্বাচনের রণকৌশল চূড়ান্ত করতে বিরোধী জোটের স্ট্র্যাটেজি বৈঠক যার মধ্যে অন্যতম৷ আগামী ১৪ জানুয়ারি এই বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও, এখন তা ঘিরে তৈরি হয়েছে প্রবল অনিশ্চয়তা৷ কারণ ওই একই দিনে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর গুজরাট সফর পড়ে গিয়েছে৷ সূত্রের খবর, উক্ত বৈঠকে যোগ নাও দিতে পারেন কংগ্রেস সভাপতি৷ ফলে তাঁর অনুপস্থিতিতে অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে পূর্ব ঘোষিত স্ট্র্যাটেজি বৈঠক৷ নয়াদিল্লি সূত্রে খবর, এই বিষয়টিকে মোটেই ভাল ভাবে নিচ্ছেন না বিরোধীরা৷ কংগ্রেস সভাপতির অনুপস্থিতির সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায়, তাঁদের মনে ক্ষোভ জমতে শুরু করেছে৷ বিরোধী জোটের একাংশের অভিযোগ, লোকসভা ভোটের আর বেশি দেরি নেই৷ কিন্তু বারবার বিভিন্ন কারণে রণকৌশল চূড়ান্ত করার বৈঠক এড়িয়ে যাচ্ছেন কংগ্রেস সভাপতি৷ কেবল বিরোধীরাই নয়, কংগ্রেস সভাপতির এমন ব্যবহার ঘিরে ধন্দ তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলেও৷