অর্ণব দাস, বারাসত: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ। তার পর বিয়ে করতে চাননি প্রেমিক। এমনই অভিযোগে। প্রতিবাদে যুবকের বাড়ির সামনেই গায়ে আগুন দিলেন তরুণী। সোমবারের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বারাকপুর পুরসভা ৬ নং ওয়ার্ডের শ্যামশ্রী পল্লি এলাকায়। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে টিটাগড় থানার পুলিশ।
সূত্রে জানা গিয়েছে, সোদপুরের বাসিন্দা যুবতী ছোটবেলা থেকে বারাকপুরের শ্যামশ্রী পল্লী এলাকায় মামা বাড়িতে থাকতেন। অভিযোগ, একই এলাকার বাসিন্দা যুবক সুমিত বিশ্বাসের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। যুবতীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সুমিত একাধিকবার সহবাস করে বলে অভিযোগ। কিন্তু তারপর যুবকের অন্যত্র বিয়ে ঠিক হওয়ায় সমস্যা বাঁধে। যুবতী জানিয়েছিলেন, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জোর করে সুমিত তার সঙ্গে সহবাস করেছে। এরপর প্রেমের কথা অস্বীকার করছে। যুবতীকে মারধর করেছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে সুমিতের দাবি ছিল, হেনস্তা করতেই বিগত এক বছর ধরে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে মোহনপুর থানায় মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু কোন কিছু প্রমাণ হয়নি বলেও জানিয়েছিল সুমিত। এরপরই রাতে সুমিতের বাড়ির সামনে গিয়ে যুবতী গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়।
[আরও পড়ুন: বিমান ছাড়তে দেরি, ঘোষণা শুনেই পাইলটের মুখে সজোরে ঘুসি যাত্রীর! ভাইরাল ভিডিও]
যদিও গোটা বিষয়টি অস্বীকার করেছে সুমিত। তাঁর দাবি,”আমাদের মধ্যে কোনও সম্পর্ক ছিল না। আমাকে ফাঁসানোর জন্যই মিথ্যে বলা হচ্ছে।” যদিও শ্যামশ্রী পল্লির স্থানীয় তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমি ঘটনাটি আগেই জেনেছি। দুপক্ষকে নিয়েই আলোচনায় বসেছিলাম। কিন্তু পরবর্তী সময় কেউ আমাকে কোন কথাই জানায়নি।”
এই প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর স্বামী তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “সমস্যা জানাতে দুই পরিবারের এসেছিল। যুবক যুবতী দুজনেই আমাদের বিষয়টি জানিয়েছিল। তাদের বলেছিলাম প্রশাসনকে বিষয়টি জানতে। কে দোষী বলতে পারব না। মেয়েটি গায়ে আগুন দেওয়ার ঘটনা জানা মাত্রই তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করিয়েছি।”