রাজস্থান: ৩ (আনাঙ্গেলদিয়েভ, লালরেমসাঙ্গা, গ্যামার)
মোহনবাগান: ২ (কিয়ান, আশিক)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোলমুখে লাগাতার ব্যর্থতা। ভূরি ভূরি সুযোগ নষ্ট। রক্ষ্মণভাগে নির্বোধের মতো পাসিং। ডুরান্ড কাপের প্রথম ম্যাচে সেটারই খেসারত দিতে হল মোহনবাগানকে (Mohun Bagan)। অভিযানের শুরুতেই অপেক্ষাকৃত দুর্বল রাজস্থান ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে ৩-২ গোলে পরাস্ত হল সবুজ-মেরুন শিবির। ফলে ডুরান্ডের নক-আউটে যাওয়ার পথ প্রথম ম্যাচেই কঠিন হয়ে গেল ফেরান্দোর দলের জন্য।
এই মরশুমে দলে কোনও বিদেশি স্ট্রাইকার রাখেননি ফেরান্দো (Juan Ferrando)। এদিনের প্রথম একাদশেও আক্রমণভাগে মূলত ছিলেন ভারতীয় স্ট্রাইকাররাই। তরুণ কিয়ান নাসিরি এদিন গোল করলেও অসংখ্য সুযোগ নষ্ট করেছেন তিনি। সুযোগ নষ্ট করেছেন আশিস রাই, মনবীর সিংরাও। সেকারণেই যে ম্যাচ রাজস্থানকে গোলের মালা পরানো যেত, সেই ম্যাচে মাঠ ছাড়তে হল পরাস্ত হয়ে।
[আরও পড়ুন: অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে রাধাকৃষ্ণের ‘অশ্লীল’ ছবি, নেটদুনিয়ায় ট্রেন্ডিং ‘বয়কট আমাজন’]
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই রীতিমতো আক্রমণাত্মক ছিল এটিকে-মোহনবাগান। হুগো বুমোস, কিয়ান নাসিরি, মনবীর সিংরা সুযোগ তৈরিও করছিলেন, কিন্তু গোল করতে পারছিলেন না। অন্যদিকে রাজস্থান সামান্য যে ক’টি সুযোগ তৈরি করেছে সব ক’টিই কাজে লাগিয়েছে। অথচ এই ম্যাচের শুরুতে এগিয়ে গিয়েছিল মোহনবাগানই। প্রথম গোল করেছিলেন নাসিরি। হাফ টাইমের ঠিক আগে আগে। হাফ টাইমের আগেই অবশ্য গোল শোধ করে দেয় রাজস্থান ইউনাইটেড (Rajasthan United)। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ফের আশিকের গোলে এগিয়ে যায় সবুজ-মেরুন। কিন্তু কিছুক্ষণ বাদেই লালরেমসাঙ্গা সমতা ফেরান। এরপর গোল পাওয়ার জন্য গোটা মোহনবাগান দল ঝাঁপিয়ে পড়ল। সেই সুযোগে একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল করে ম্যাচ বের করে নিয়ে গেল রাজস্থান।
[আরও পড়ুন: ‘ফের ২৬/১১-এর মতো হামলা হবে’, হুমকি এল পাকিস্তান থেকে, তীব্র আতঙ্ক মুম্বই জুড়ে]
ডুরান্ডে (Durand Cup) নকআউটে যাওয়ার ছকটা আগেই কষে ফেলেছেন কোচ জুয়ান ফেরান্দো। ম্যাচের আগেই বলেছিলেন, “আমার হিসেবে পরের পর্বে যেতে ৭-৮ পয়েন্ট লাগবেই। কারণ আমরা কঠিন গ্রুপে রয়েছি।” কিন্তু সেই ৭-৮ পয়েন্টের খোঁজে প্রথমেই হোঁচট খেতে হল সবুজ-মেরুনকে। ডার্বির আগে এই হার রীতিমতো ক্ষতর মতো বিঁধবে ফেরান্দোকে।