রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় ও অরিজিৎ গুপ্ত: পুজোয় শহরে এসেও সেই রাজনীতির কথাই বললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (J P Nadda)। মহাসপ্তমীর সকালে শহরে এসে প্রথমে হাওড়া শহরের একটি পুজোয় আসেন। তারপর শোভাবাজার রাজবাড়ি ও শেষে কলকাতার আরেকটি পুজোয় যান। মধ্য কলকাতার একটি পুজো মণ্ডপে এসে জে পি নাড্ডা বললেন, মা দুর্গার কাছে প্রার্থনা করি শুভ শক্তির হাতে ক্ষমতা আসুক।
শনিবার সকালে কলকাতায় এসে প্রথমে হাওড়ার বেলিলিয়াস রোডের একটি পুজোতে যান। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাহুল সিনহা প্রমুখ। রাজনীতির কথা বলে তৃণমূলকেই এদিন নিশানা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। নাড্ডার কথায়, “কিছু লোকের মতিভ্রম হয়েছে। সুবুদ্ধি ফিরুক। বাংলায় শুভ শক্তির হাতে ক্ষমতা আসুক। অশুভ শক্তির সমাপ্তি হয়ে শুভ শক্তির উদয় হোক।” তিনি বলেন, “সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস, সবকা প্রয়াস এর মাধ্যমে রাজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাক। অসুর শক্তি দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয়, এমন অশুভ শক্তিকে পরাস্ত করার শক্তি দিন মা দুর্গা।”
[আরও পড়ুন: ৫০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ব্যবসায়ীকে ‘অপহরণ’, গ্রেপ্তার সিভিক ভলান্টিয়ার]
ক’দিন আগে কলকাতায় একটি পুজো উদ্বোধনে এসে রাজনীতির কথা বলবেন না বলেও রাজ্যে পরিবর্তনের ডাক দিয়ে পূজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে রাজনৈতিক বার্তা দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পুজো মণ্ডপে গিয়ে মঞ্চে বক্তব্য রাখতে উঠে সেই শাহর পথই অনুসরণ করেছেন নাড্ডা। শোভাবাজার রাজবাড়িতে এদিন অঞ্জলি দেন। গিয়েছিলেন নিউ মার্কেট সর্বজনীনের পুজোতেও।
এদিন পুজো দেখার পর নিউটাউনের একটি হোটেলে কিছুক্ষণ রাজ্যের কয়েকজন নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন নাড্ডা। প্রায় এক ঘণ্টার এই বৈঠকে সুকান্ত পুরোটা থাকলেও শুভেন্দু মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই চলে যান। শুভেন্দু পুরোটা সময় কেন থাকলেন না তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবিরে। কারণ, শুভেন্দুর সঙ্গে সুকান্তর দূরত্বের বিষয়টি দলে কারওরই অজানা নয়। এদিন বৈঠকে রাজ্যের সাংগঠনিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রতে দলের সাংগঠনিক অবস্থার কথা সুকান্তর থেকে জানতে চান নাড্ডা। পুজোর মরশুম কাটলেই চব্বিশের লক্ষে রাজ্য বিজেপিকে মাঠে নেমে পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: সপ্তমীর মাঝরাতে নরবলি! রাজবাড়ির অর্ধরাত্রির পুজোয় ঢুকতে পারে না আমজনতা]
এদিকে, সুকান্ত মজুমদারের বালুরঘাটের পুজোতে অমিত শাহ বা নাড্ডা কেউই গেলেন না। যা নিয়ে সুকান্ত শিবির যথেষ্ঠ ক্ষুব্ধ। অন্যদিকে, শোভাবাজার রাজবাড়ির সামনে শারদ শুভেচ্ছা জানিয়ে নাড্ডার ছবি ও নাম দেওয়া ফ্লেক্স খুলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপির তরফে এটা নিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়।