দেব গোস্বামী, বোলপুর: দুবছর পর দুর্গাপুজো(Durga Puja 2024) বাড়িতে কাটাবেন অনুব্রত মণ্ডল। পুজোর আগেই তিনি তিহাড় জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে ফিরেছেন বোলপুরে। তাঁর আগমন উপলক্ষে আগেই নানুরের গ্রামের বাড়িতে পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছিল। অনেকদিন পর এই পুজোয় অনুব্রতর উপস্থিতিতে ফিরে আসছে আগের আনন্দময় পরিবেশ। শুক্রবার নিজের গ্রামের বাড়িতে এই পুজো প্রস্তুতি দেখতে গিয়েছিলেন অনুব্রত। সঙ্গে ছিলেন মেয়ে সুকন্যা। কিন্তু সেখানে কেষ্টর মুখে শোনা গেল অন্য কথা। জানালেন, আর্থিক সামর্থ্য নেই। এবারের পুজোয় আর লোক খাওয়ানো সম্ভব হচ্ছে না। আরও জানালেন, রক্তের সম্পর্কগুলো আর রাখতে চান না।
বোলপুরের নিচুপট্টিতে বাড়ির বাসিন্দা অনুব্রত মণ্ডল। ব্যক্তিগত আর রাজনৈতিক জীবন তিনি কাটিয়েছেন এখানেই। কিন্তু বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতির গ্রামের বাড়ি নানুরের হাটসেরান্দি গ্রামে। শুক্রবার সেখানে দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি দেখতে যান অনুব্রত মণ্ডল ও মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। অনেকদিন পর গ্রামে পৌঁছে কাছের মানুষজনকে দেখে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন অনুব্রত। বাড়িতেই তৈরি হচ্ছে দুর্গামূর্তি। সেই মূর্তিতে প্রণাম করেন তিনি, চোখ ছল ছল করে ওঠে তাঁর। গ্রামবাসীরাও দুবছর পর তাঁকে কাছে খুব খুশি পরিবারের সদস্য এবং গ্রামবাসীরা। অনুব্রতকে প্রণাম করেন সকলে। তিনিও সকলের কুশল সংবাদ নেন।
গ্রামের বাড়ির পুজো প্রস্ততি দেখতে গেলেন অনুব্রত মণ্ডল। নিজস্ব ছবি।
এর পর আবেগী স্বরে অনুব্রত জানান, "পরিবারের কোনও সদস্যের সঙ্গে রক্তের সম্পর্ক আর রাখতে চাইছি না। আমার দাদু, বাবাদের জন্ম এখানেই। নিজের পৈতৃক বাড়ি, তাই টান আলাদা। পুজোর সময় প্রতিদিনই আসব, মায়ের আশীর্বাদ নেব প্রণাম করব। এবার আমার আর্থিক অবস্থা খারাপ। খাওয়াদাওয়ার আয়োজন হবে না। গ্রামের গরিব মানুষদের সঙ্গে নিয়ে হবে পুজোর আয়োজন।" অনুব্রতর বাড়ির পুজোয় নিয়মিত ৩ থেকে ৪ হাজার মানুষজন খাওয়াদাওয়া করেন। এ বছর তাতে ছেদ পড়বে।