সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্গাপ্রতিমার ভাসান ঘিরে তীব্র উত্তেজনা যোগীরাজ্যে। দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে মৃত্যু হল একজনের, আহত বেশ কয়েকজন। রবিবার রাতে বাহরাইচে এই ঘটনা ঘটেছে। শোনা গিয়েছে, প্রতিমা বিসর্জনে গান বাজানো নিয়ে দুপক্ষের ঝামেলা শুরু হয়। তা হাতাহাতিতে গড়ায়, পাথর ছোড়াছুড়ি ও গুলিবর্ষণে মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। এর পর উত্তেজিত জনতা বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় ৩০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দাবি, এই ঘটনা আসলে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ। দোষীদের কোনওভাবেই ছাড়া হবে না।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধে নাগাদ বাহরাইচের মহারাজগঞ্জ বাজারের কাছ দিয়ে প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ভাসানের জন্য। একটি শোভাযাত্রাও চলছিল। সেখানে গান বাজানো নিয়ে ঝামেলা বাঁধে দুপক্ষের মধ্যে। এর পরই আচমকা পাথর, গুলি বর্ষণ হতে থাকে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। এসবের মাঝে পড়ে ২২ বছরের যুবক রামগোপাল মিশ্র গুলিবিদ্ধ হন। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি। পরিবার সূত্রে খবর, চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন।
দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে এমন এক ঘটনার পরই কড়া হাতে পরিস্থিতি দমনে নামে বাহরাইচ পুলিশ। দ্রুত ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের মধ্যে একজনের নাম সলমন। তাঁর দোকান থেকে গুলি ছোড়া হয়েছে বলে অভিযোগ। মৃত রামগোপাল মিশ্রর পরিবারের দাবি, যতক্ষণ না দোষীদের গ্রেপ্তার করা হবে, ততক্ষণ তাঁরা দেহ দাহ করবেন না। ঘটনায় কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে বাহরাইচের পুলিশ সুপার দুই অফিসারকে সাসপেন্ড করেছেন।
ঘটনার পরই X হ্যান্ডলে দীর্ঘ পোস্ট করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তাঁর দাবি, ''বাহরাইচের ঘটনা সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ। যারা এই ঘটনা ঘটিয়ে দাঙ্গা বাঁধাতে চেয়েছে, কাউকে ছাড়া হবে না। সকলকে চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া হবে। নাগরিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হয়েছে। প্রতিমা বিসর্জনের কাজ চলবে।'' এই ঘটনায় ফের উত্তরপ্রদেশের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।