বছরের কয়েকটা দিন গোটা শহরের চেহারা পালটে যায়। বনেদি বাড়ি থেকে থিমের প্যান্ডেল, সবেতেই আলোর রোশনাই। এই কটা দিন সমস্ত কিছু ভুলে একটু ভালোভাবে কাটানো। প্রথম প্রেম, চোখের সামান্য ইশারাতেই ভালোলাগা, আড্ডা, পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা, কাছের মানুষের ফিরে আসা, আর কতকিছু। সব এই এক দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে। এমন দিনে নিজেকেও নতুনভাবে সাজিয়ে নেওয়ার পালা। ষষ্ঠী থেকে দশমী, কীভাবে সাজবেন? লিখলেন বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়।
আমার পুজোর সাজ(Durga Puja Fashion) তো পঞ্চমী থেকেই শুরু হয়ে যায়। আর সবকটা দিনে আমার শাড়ি মাস্ট। হ্যাঁ, যাঁর যেমন পোশাক পছন্দ, তাই পরবেন। তবে পুজোর কটা দিনে আমার প্রথম ও শেষ পছন্দ শাড়ি। ষষ্ঠীর দিনটা একটু হালকার উপরে কাটাতে পারেন। এদিন হালকা রঙের পোশাক পরাই ভালো। যাতে পুজো শুরুর আমেজ পাওয়া যায়। আমার ব্যক্তিগত পছন্দ সাদা রং। তার বদলে যেকোনও হালকা রংয়ের পোশাক পরতে পারেন। সঙ্গে একেবারেই কম জুয়েলারি। না হলেও চলে।
ছবি: শিলাদিত্য দত্ত
ষষ্ঠীর তুলনায় সপ্তমীর সাজ একটু হেভি হবে। এদিনের জন্য আমার পছন্দের রং নীল বা একটু গোলাপি শেড। তার সঙ্গে ম্যাচিং জুয়েলারি। তবে খুব বেশি হেভি জুয়েলারি না শরীরে না রাখাই ভালো।
ছবি: ফেসবুক
অষ্টমীর জন্য সাবেকিয়ানা। লাল-সাদা কম্বিনেশনের শাড়ি সবচেয়ে ভালো। শুনতে ক্লিশে লাগলেও আমার মনে হয়, এটা ছাড়া অষ্টমী জাস্ট ভাবা যায় না।
ছবি: ফেসবুক
নবমী এক্সপেরিমেন্টের দিন। এদিন একটু বোল্ড কালারের দিকে যাওয়া ভালো, যেমন সবুজ, কালো কিংবা গ্রে। অনেকেই নবমীর দিনে ইন্দো-ওয়েস্টার্ন বা ফিউশন প্রেফার করেন। সেটা কিন্তু বেশ ভালো লাগে। একটা মর্ডার্ন আউটলুক পাওয়া যায়।
ছবি: শিলাদিত্য দত্ত
দশমীতে আবারও লাল-সাদার যুগলবন্দি বেস্ট। ধুনুচি নাচ, সিঁদুর খেলার জন্য একেবারে আদর্শ। লালের সঙ্গে লাল মিশে গিয়ে একটা দারুণ আবহের সৃষ্টি হয়। সবশেষে একটাই কথা বলব, পোশাক ও সাজ যেমনই হোক না কেন মেয়েরা ব্যাগে কিন্তু একটা টিপের পাতা, লিপস্টিক আর কাজল রাখতে পারেন। আর শাড়ি পরলে সেফটিপিন। যেকোনও সময় প্রয়োজন হতে পারে।