পুজো মানেই নতুন জামার নস্ট্যালজিয়া, পুজো মানেই রং মিলান্তি, পুজো মানেই ব্যতিক্রমী ফ্যাশনে (Durga Puja Fashion) সবাইকে চমকে দেওয়া। তাই তো দুর্গাপুজো তাঁর এত ভালো লাগে। প্রত্যেকটা দিনের জন্য আলাদা সাজ। এবার কীভাবে সাজবেন? সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালে সেই টিপস দিয়ে ডিজাইনার অভিষেক রায় লিখলেন বিশেষ প্রতিবেদন।
শুরুটা ষষ্ঠী থেকেই করা যাক। আমি সবসময় ষষ্ঠীতে হালকা সাজ প্রেফার করি। এই সাজের কিন্তু বেশ কদর রয়েছে। ইনফ্যাক্ট, আমি যখন সইফ আলি খানের জন্য পোশাক তৈরি করেছিলাম, তাঁর কাছে প্রেফারেন্স জানতে চেয়েছিলাম। তিনিও একেবারে হালকা সাজ প্রেফার করেন। এবারে কিন্তু কোঅর্ড সেটের ট্রেন্ড চলছে। ষষ্ঠীর দিন এই পোশাক বেশ ভালো মানাবে। যেহেতু পুজোর শুরু, একটু ইন্দো-ওয়েস্টার্ন লুক চলতেই পারে। ছেলে-মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রেই এটা ভালো মানাবে।
বহুরূপী শান্তিনিকেতনের পোশাকে দিতিপ্রিয়া
সপ্তমীর দিন ভরপুর বাঙালিয়ানা। এদিন সূতি বা হ্যান্ডলুম বেসের শাড়িতে মেয়েদের দারুণ লাগবে। তার সঙ্গে প্রিন্টেড ব্লাউজ পরবেন। ছেলেরা বেছে নেবেন ব্রাইট আর ভাইব্র্যান্ট কালার। সেটাও সূতি ও হ্যান্ডলুম বেস রাখবেন। কারণ আমাদের এখানকার ওয়েদার। ফ্যাশনের পাশাপাশি কামফর্টের খেয়ালও তো রাখা দরকার।
স্বস্তিকা দত্ত
এবারে অষ্টমী ও নবমী একদিনে পড়েছে। তাহলে সকালটা থাক অষ্টমীর জন্য, রাত হোক নবমীর। অষ্টমীর অঞ্জলিতে কিন্তু শাড়িই বেস্ট। রঙে লালের প্রাধান্য থাকলে খুব ভালো। ছেলেদের ক্ষেত্রে প্রাধান্য থাকবে ধুতি পাঞ্জাবিতে। এখন তো অনেক ধরনের ধুতি-পাঞ্জাবি পাওয়া যায়। ফিউশন ট্রাই করতেই পারেন।
সইফ-করিনা অভিষেকের ডিজাইন করা পোশাকে
নবমী প্রায় পুজোর শেষের বেলা। তাই এই সময়টার জন্য বেছে নিন ডার্ক কালার। ছেলেরা কুর্তার সঙ্গে চুড়িপ্যান্ট, ধোতি প্যান্ট, কলার দেওয়া শার্টের কুর্তা পরতে পারেন। মেয়েদের ভালো লাগবে স্লিক শাড়িতে। তার সঙ্গে একটু ডিফরেন্ট কাটের ব্লাউজ পরবেন।
অভিষেকের ডিজাইনে দেবলীনা কুমার
দশমী মায়ের বিদায়বেলা। উমাকে বরণ করে নেওয়ার পালা। এমন দিনে সাদা-লালের কম্বিনেশন ছাড়া আর কিছুই ভাবা যায় না। তা সে ছেলে হোক বা মেয়ে। একটু অন্যরকম কিছু করতে চাইলে ফুল হোয়াইট শাড়ির সঙ্গে হেভি রেড ব্লাউজের কম্বিনেশন ট্রাই করতে পারেন।
অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলার সাজ
আবার পুরো লাল শাড়ি পরলে ব্লাউজে রেড-হোয়াইটের কম্বিনেশন রাখুন। ছেলেরা সাদার উপর লালের যুগলবন্দিতেই থাকুন। পুজো ভালো করে কাটান। সবার ভালো হোক। আর মনের যাবতীয় ইচ্ছে পূর্ণ হোক।
বিশদে জানতে 'বহুরূপী শান্তিনিকেতন'। ফোন - ৯৩৩০৩ ৭৪৬৪৭