শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: গত বছর প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় অঘটন। মাল নদীতে হড়পা বান প্রাণ কাড়ে ৮ জনের। অঘটন থেকে শিক্ষা নিয়ে বাড়ল নিরাপত্তা। নদীঘাটে অতিরিক্ত পুলিশকর্মী মোতায়েন। সিসিটিভি, ডুবুরি, স্পিডবোট, নৌকা, লাইফ জ্যাকেট-সহ পর্যাপ্ত আলোর বন্দোবস্ত করা হয়েছে। বিডিওর কার্যালয়ে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।
পুজোর সময় পাহাড় ও সমতলে কোথায় কত পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে। হড়পা বানের আশঙ্কা রয়েছে কিনা, নদীতে জলস্তর কতটা রয়েছে তার আগাম খবরাখবর রাখতে জেলার প্রতিটি বিডিও অফিসে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এবার জলপাইগুড়ি শহরের প্রতিটি নদীঘাট আগে থেকেই বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দিয়েছে পুর প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: গরবার নাচ চলাকালীনই লুটিয়ে পড়ে মৃত্যু যুবকের! গুজরাটে মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ১০]
জলে নামা নিষিদ্ধ করা হয়েছে দর্শনার্থীদের। শুধুমাত্র পুজো কমিটির কয়েকজন মাত্র সদস্য অল্প জলে নেমে প্রতিমা নিরঞ্জন করতে পারবেন। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি নদীঘাটে অতিরিক্ত পুলিশকর্মী মোতায়েনের ব্যবস্থা। থাকছে সিসিটিভি, ডুবুরি, স্পিডবোট, নৌকা, লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাল নদীতে বিপর্যয়ের পর পর্যাপ্ত আলোর বন্দোবস্ত ছিল না বলেও অভিযোগ উঠেছিল। তার ফলে উদ্ধারকাজেও ব্যাঘাত ঘটে। তবে এবার নদীঘাটে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সবমিলিয়ে অতীতের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সে বিষয়ে তৎপর প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরা।
দেখুন ভিডিও: