shono
Advertisement

আয় বাড়াতে পরিত্যক্ত খোলা মুখ খনিতে মাছ ছড়াল মৎস্য দপ্তর

এবারই প্রথম মাছ ছাড়া হল৷ The post আয় বাড়াতে পরিত্যক্ত খোলা মুখ খনিতে মাছ ছড়াল মৎস্য দপ্তর appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 07:10 PM Oct 12, 2018Updated: 09:11 PM Oct 13, 2018

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: খোলা মুখ খনিতে মাছ ছড়াল মৎস্য দপ্তর৷ আসানসোল-দুর্গাপুরের পরিত্যক্ত খোলা মুখ খনিগুলিতে মাছ চাষের মাধ্যমে স্থানীয়দের আর্থিক শ্রীবৃদ্ধি ঘটানোই লক্ষ্য মৎস্য দপ্তরের৷ দুই সপ্তাহ ধরে মোট ২৩টি খোলা মুখ খনিতে ৩৬ ইউনিট মাছ ছাড়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পশ্চিম বর্ধমান মৎস্য দপ্তর৷

Advertisement

[‘তিতলি’-র প্রভাবে বিপর্যস্ত ঝাড়গ্রাম, মৃত্যু যুবকের]

এক একটি ইউনিটে সাড়ে ১৭ হাজার করে তিন থেকে চার ইঞ্চির চারা পোনা মাছ ছাড়া হয়েছে বলে খবর৷ জেলা ভাগের পর এই প্রথম খোলা মুখ খনিতে মাছ ছাড়া হয়েছে৷ এরমধ্যে আসানসোলের সালানপুরে আটটি খোলা মুখ খনিতে মাছ ছাড়া হয়েছে৷ অন্ডালে দুটি, রানিগঞ্জে তিনটি, বারাবনিতে একটি, জামুরিয়াতে দুটি ও পাণ্ডবেশ্বরে সাতটি খোলা মুখ খনিতে মাঠ ছেড়েছে মৎস্য দপ্তর৷ বড় খোলা মুখ খনিতে দুটি ইউনিট ও তুলনায় ছোট খোলা মুখ খনিগুলিতে একটি করে ইউনিট মাছ ছাড়া হয়েছে৷ প্রথম পর্যায়ে ৩৬ ইউনিট মাছ ছাড়া হলেও আরও বেশ কয়েকটি ইউনিট মাছের চারা দ্বিতীয় পর্যায়ে ছাড়া হবে বলে মৎস্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে৷ মোট ২৪টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী এই খোলা খনিতে মাছ চাষ করবে৷ প্রতিটি গোষ্ঠীতে ১০ জন করে সদস্য আছেন৷ রানিগঞ্জে দুটি নতুন খোলা মুখ খনিতে এবারই প্রথম মাছ ছাড়া হল বলে জানা গিয়েছে৷

[চার বছর পর দেবীপক্ষে বাড়ি ফিরল হারানো ছেলে]

রানিগঞ্জের পরিত্যক্ত ঘনশ্যাম-ভ্ল ও খোলা মুখ খনিতে এবারই প্রথম একটি নতুন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জন্যে মাছের চারা ফেলেছে মৎস্য দপ্তর৷ এর আগেও মৎস্য দপ্তর খোলা মুখ খনিতে মাছ ছাড়লেও তা খুব বেশি জনপ্রিয় হয়নি৷ পুকুর বা জলাশয়ের গভীরতা কম থাকায় সেখানে মাছ চাষ বা তা ধরা সম্ভব হয়৷ কিন্তু, অতি গভীরতার জন্য খোলা মুখ খনিতে মাছ চাষ বা ধরা বাস্তবে অসম্ভব হয়ে পড়ে৷ মাছের জলজ খাদ্যও স্বাভাবিক উপায়ে তৈরিও হয় না খোলা মুখ খনিতে৷ বাইরে থেকে খাবার দিতে হয়৷ আবার যেহেতু সহজে খোলা মুখ খনি থেকে মাছ ধরা যায় না তাই বাড়তে থাকে মাছের পরিমাণ৷ একসময় আর তোলাই যায় না মাছ৷ তাই খোলা মুখ খনিতে মাছ চাষের ইচ্ছাই দেখান না স্থানীয় মৎস্যজীবীরা৷ তাই উৎসাহ বৃদ্ধি করতে এবার খোলা মুখ খনিতে ভিন্ন উপায়ে মাছ ছাড়ছে মৎস্য দপ্তর৷ পশ্চিম বর্ধমানের মৎস্য দপ্তরের সহ-অধিকর্তা অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘‘খোলা মুখ খনিতে মাছ চাষের অন্য একটি বিশেষ সুবিধাও রয়েছে৷ এখানে তাড়াতাড়ি মাছ বড় হয়৷ ফাঁস জালের সাহায্যে মাছ ধরলে তা ধরা সম্ভব৷ সেই পতিতে মাছ ধরার কৌশলও শেখানো হবে মৎস্যজীবীদের৷”

The post আয় বাড়াতে পরিত্যক্ত খোলা মুখ খনিতে মাছ ছড়াল মৎস্য দপ্তর appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement