সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মোহনবাগানের তারকাখচিত দল, দলে থাকা ভারতের সেরা সব তারকা, বিশ্বকাপ-ইউরোর মঞ্চ থেকে আসা বিদেশি, চ্যাম্পিয়ন কোচ– সবকিছুর জবাবে লাল-হলুদ জনতার আশা-ভরসার কেন্দ্রে ছিলেন একটাই মানুষ। শনিবাসরীয় সন্ধ্যার পর যিনি ইস্টবেঙ্গলের কাছে আক্ষরিকভাবেই ‘স্বপ্নের ফেরিওয়ালা!’ তিনি কার্লেস কুয়াদ্রাত (Carles Cuadrat)। লাল-হলুদের হেডস্যর। এ হেন ম্যাচে জয়ের পরও কুয়াদ্রাতের পা বাস্তবের মাটিতে।
বলছিলেন, “শেষ কয়েকটা মরশুম এই ক্লাবের ফল ভাল হয়নি। আইএসএলে (ISL) ধারাবাহিক ব্যর্থতার সঙ্গে জুড়েছিল ডার্বিতে টানা হার। তাই সমর্থকদের প্রত্যাশার চাপ বেড়েছে। সেটাই স্বাভাবিক। আমাদের ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যেতে হবে, একসঙ্গে। ফুটবলার, ম্যানেজমেন্ট, ক্লাব সবাইকে। তবেই সাফল্য পাওয়া যাবে।” হারের পরম্পরা কাটিয়ে স্বপ্নের জয়। তাও আবার দলের সেরা তারকা ক্লেটনকে বাইরে রেখে। তবে কুয়াদ্রাত বললেন, “আমরা প্রি-সিজনের দ্বিতীয় ম্যাচ খেললাম, সেটা মাথায় রাখতে হবে। আজকের এই জয় সমর্থকদের জন্য। আমাদের কাজ চালিয়ে যেতে হবে।”
[আরও পড়ুন: স্টেশনে হেল্প ডেস্ক খোলা-সহ একাধিক সুবিধা, পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য আরও পরিষেবা নবান্নের]
এসবের মধ্যে আবার অন্য একটি কাণ্ড ঘটে গিয়েছে। মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ফেডারেশনের কাছে নালিশ জানিয়ে এসেছে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। কী অভিযোগ, ইস্টবেঙ্গলের দাবি, মোহনবাগান ডুরান্ড কাপের নিয়ম ভেঙেছে। নিয়ম অনুযায়ী ডুরান্ডে ৩৩ জন ফুটবলারকে রেজিস্ট্রার করানো গেলেও খেলানো যায় ৩০ জনকে। কিন্তু প্রথম তিন ম্যাচে ৩৩ জন ফুটবলারকেই খেলিয়ে ফেলেছেন জুয়ান ফেরান্দো। আসলে মোহনবাগান কোচ চাইছিলেন এএফসি কাপের (AFC Cup) ম্যাচের আগে সব ফুটবলারকে দেখে নিতে। আর তাতেই যত বিপত্তি। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ কুয়াদ্রাত। তিনি বলছেন,”মোহনবাগান তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ডুরান্ডে। এর মধ্যেই ওরা ৩৩ জন ফুটবলারকে খেলিয়ে ফেলেছে। আমরা কখনও ৩০ জনের বেশি ফুটবলারকে খেলাব না। ওরা নিয়মের বাইরে গিয়ে কাজ করেছে। নিয়ম তো সবার জন্যেই সমান হবে। ডুরান্ডের মতো টুর্নামেন্টে কোনও দলকে বাড়তি সুবিধা দেওয়া কাম্য নয়।”
[আরও পড়ুন: প্রেমিকার বাড়ি থেকে যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, বিক্ষোভ-ভাঙচুর উন্মত্ত জনতার]
এদিন রেফারিং নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কুয়াদ্রাত। তাঁর অভিযোগ, একই অপরাধের জন্য ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের কার্ড দেখতে হয়েছে, অথচ ছাড় পেয়ে গিয়েছে মোহনবাগান। কুয়াদ্রাত বলছেন, “আমার কাছে একটা ব্যাপার অদ্ভুত লেগেছে। এখানে নিয়ম এবং রেফারিংয়ের কোনও ধারাবাহিকতা নেই। গোটা ম্যাচে আমরাই একমাত্র হলুদ কার্ড দেখেছি। ওদের কেউ হলুদ কার্ড দেখেনি।”