দুলাল দে: শ্রী সিমেন্ট (Shree Cement) কর্তাদের সঙ্গে কথা বলার পর চুক্তি সংক্রান্ত ব্যাপারে এদিন ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) কর্তা দেবব্রত সরকার এবং সদানন্দ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুমে কথা বললেন, প্রাক্তন সচিব আইনজীবী পার্থ সেনগুপ্ত। জুম কলে ছিলেন প্রাক্তন ফুটবল সচিব প্রদীপ সেনগুপ্তও। যে আলোচনায় এক্সিট ক্লজ, এবং সদস্য-সমর্থকদের অধিকার নিয়ে ইনভেস্টরের বক্তব্যও তুলে ধরেনি তিনি। যেখানে তিনি জানান, ইনভেস্টর কর্তৃপক্ষ এখন এক্সিট ক্লজ এবং সদস্য-সমর্থকদের অধিকার নিয়ে অনেকটাই নরম মনোভাব নিচ্ছে।
এরপরেই দেবব্রত সরকার ক্লাবের লোগো এবং তাঁদের অধিকারের প্রসঙ্গগুলি তোলেন। পার্থ সেনগুপ্ত জানান, ক্লাবের এই দাবিগুলোই শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে আলোচনা করে রবিবার ফের ক্লাবকে জানাবেন। তারপর ক্লাব যা সিদ্ধান্ত নেবে, সেটা সম্পূর্ন তাদের ব্যাপার। এদিন ১২টা থেকে ২টো টানা দু’ঘন্টার জুম কলে পার্থ সেনগুপ্ত ক্লাব কর্তা দেবব্রত সরকারকে বলেন, দুটো বিষয় নিয়ে তিনি শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে কথা বলেছেন।
যেখানে শ্রী সিমেন্ট লিখিত ভাবে এখনও কিছু না জানালেও, তাঁর মনে হয়েছে, এই দুটো বিষয়ে শ্রী সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ সম্মত হতে রাজি হয়েছেন। প্রথমত এক্সিট ক্লজ। যা আগে ছিল শুধুমাত্র শ্রী সিমেন্টের অধীনে। নতুন ভাবে যে এক্সিট ক্লজ তৈরি হচ্ছে, তাতে ইস্টবেঙ্গলেরও বিচ্ছেদের সমান অধিকার থাকবে। তাতে ইস্টবেঙ্গল কর্তারা দাবি করেছিলেন, শ্রী সিমেন্ট যদি সরে যায়, তাহলে কেন তার বিনিময়ে অর্থ দেওয়া হবে? নতুন এক্সিট ক্লজে আসতে চলেছে, শ্রী সিমেন্ট যদি নিজের থেকে চলে যায়, তাহলে ক্লাবকে কোনও অর্থ দিতে হবে না। একমাত্র ইস্টবেঙ্গল যদি বিচ্ছেদ চায়, তাহলেই শ্রী সিমেন্টকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আর সদস্য-সমর্থকদের ব্যাপারে শ্রী সিমেন্টের মনোভাব যা পার্থ সেনগুপ্ত এদিন দেবব্রত সরকারকে বলেছেন, তা হল, ক্লাবের নিয়মাবলী মেনেই নতুন বোর্ড সদস্য-সমর্থকদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। এমন কিছুই করা হবে না, যা সংবিধান বিরোধী।
[আরও পড়ুন: Tokyo Olympics: সোনার দৌড় শেষ, বিশ্বের এক নম্বরের কাছে সেমিফাইনালে হার পিভি সিন্ধুর]
দেবব্রত সরকাররা এখন চাইছেন, ক্লাবের অন্যান্য কাজে লোগো ব্যবহারের স্বাধীনতা। সে ব্যাপারে ইনভেস্টরের এখনও পর্যন্ত বক্তব্য হল, সদস্য কার্ড কিংবা ক্লাবের স্মারক বিক্রিতে লোগো ব্যবহার করার জন্য কোনও অনুমতি নিতে হবে না। এর বাইরে অন্যান্য অনুষ্ঠানে লোগো ব্যবহার করতে হলে কোম্পানিকে জানাতে হবে। এবং সেসব ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হলে, তার কোনও দায় এসসি ইস্টবেঙ্গল ফাউন্ডেশন নেবে না। ক্লাবের আরেকটি শর্ত হল, ক্লাবের ভিতর কোনও অনুষ্ঠান কিংবা মিটিংয়ের জন্য কোম্পানির অনুমতি নেওয়া। এইপ্রসঙ্গে ইনভেস্টরের বক্তব্য হল, ক্লাব যেদিন মিটিং করতে চাইবে, সেদিন কোম্পানিরও মিটিং থাকতে পারে। তাই ক্লাবের মিটিংয়ের কথা আগে ভাগে কোম্পানিকে জানাতে হবে। তার মানে এই নয় যে, ইনভেস্টর কোনও মিটিং করতে দেবে না। যাতে জটিলতার কোনও সৃষ্টি না হয়, তার জন্য আগাম কোম্পানিকে জানাতে হবে। চুক্তি সংক্রান্ত সমস্যায় ইনভেস্টরও চাইছে, এই বিষয়গুলিতে সামান্য কিছু শিথিলতা এনে দ্রুত সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে। নাহলে দল গড়তে রীতিমতো সমস্যা হয়ে যাচ্ছে। এরপর সই হলেও আর দল গড়া সম্ভব হবে না। পার্থ সেনগুপ্ত বললেন, “আমি কেবলই মধ্যস্থতাকারী। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে ক্লাব এবং ইনভেস্টরকেই।