ইস্টবেঙ্গল – ২ (জিতেন, লালরিন্ডিকা)
সংবাদ প্রতিদিন ভবানীপুর – ১ (ওরোক ওরোক)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টানা ছ’বারের চ্যাম্পিয়ন তারা৷ কিন্তু বৃহস্পতিবার ভবানীপুরের বিরুদ্ধে তাদের খেলা দেখে তেমনটা মনে হওয়ার জো নেই৷ কলকাতা লিগের অভিযান ইস্টবেঙ্গল জয় দিয়ে শুরু করল বটে৷ তবে দিনের শেষে যাবতীয় প্রশংসা কুড়িয়ে নিয়ে গেলেন সংবাদ প্রতিদিন ভবানীপুর কোচ দেবজিৎ ঘোষ৷
মাঠে নামার আগে খাতায়-কলমে ইস্টবেঙ্গলকেই এগিয়ে রেখেছিল ফুটবলমহল৷ রাখাটাও স্বাভাবিক৷ দামী ফুটবলার থেকে পরিসংখ্যান, সবেতেই তো এগিয়ে মর্গ্যান ব্রিগেড৷ দেবজিৎও সে কথা মেনে নিয়ে নিজেদের ‘আন্ডারডগ’-এর আসনে বসিয়েছিলেন৷ এই স্ট্র্যাটেজিই ভবানীপুরের অ্যাডভান্টেজে পরিণত হল৷ টুলুঙ্গা, ভার্গবদের বিরুদ্ধে জিততে রীতিমতো ঘাম বেড়িয়ে গেল ডংদের৷ দ্বিতীয়ার্ধে টুলুঙ্গা গোলের সহজ সুযোগ হাতছাড়া না করলে হয়তো এক পয়েন্ট নিয়েই বাড়ি ফিরত ভবানীপুর৷ প্রথমার্ধে তো লাল-হলুদকে আটকেও দিয়েছিলেন দেবজিতের ছেলেরা৷ ডানদিক থেকে দো ডংয়ের করা সেন্টার থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দিলেন জিতেন মুর্মু৷ তবে সমতায় ফিরতে খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি ভবানীপুরকে৷ লাল-হলুদের ব্রিটিশ ডিফেন্ডার অ্যাঙ্গাসকে টপকে বল জালে জড়ান ওরোক ওরোক৷ কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে পার্থক্য গড়ে দিলেন লালরিনডিকারা৷ অবিনাশের নিচু ক্রস ডংয়ের মাথা ছুঁতে ব্যর্থ হয়ে রালতের পায়ে জমা হয়৷ দলকে তিন পয়েন্ট পাইয়ে দিতে কোনও ভুল করেননি তিনি৷
জয় বিষয়টা ফুটবলারদের সবসময়ই মোটিভেট করে৷ তবে মর্গ্যান এখনই চওড়া হাসি হাসছেন না৷ কারণ তিনি ভালই টের পেলেন, এদিনের মতো খেললে, সপ্তমবার চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা হয়তো স্বপ্নই থেকে যাবে৷ সমর্থকদের মধ্যে একেতেই আই লিগ না পাওয়ার ক্ষোভ রয়েছে৷ সেই সঙ্গে ক্লাবের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা ব্রিটিশ কোচের উপর প্রত্যাশার অগাধ চাপ৷ পরের ম্যাচে নামার আগে যে আরও শক্ত করে কোমর বাঁধবেন তিনি, তা আর বলে দেওয়ার প্রয়োজন নেই৷
The post জিতেও হতাশ করল ইস্টবেঙ্গল appeared first on Sangbad Pratidin.