শিলাজিৎ সরকার: ডার্বি জিতে খুশি ইস্টবেঙ্গল কোচ বিনো জর্জ। খুশি তাঁর ছেলেরা। লিগ ডার্বিতে লাল-হলুদ ব্রিগেড ২-১ গোলে মোহনবাগানকে হারিয়ে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল। প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পরে দ্বিতীয়ার্ধে বিষ্ণু ও জেসিনের গোলে ইস্টবেঙ্গল দুগোলে এগিয়ে যায়। খেলার শেষ লগ্নে সুহেল গোল করে ব্যবধান কমালেও শেষ হাসি হাসে ইস্টবেঙ্গলই। ম্যাচ জয়ের পরে বিনো বলেন, ''কলকাতা ডার্বি একটা যুদ্ধ। স্কোরলাইন দেখে বোঝা সম্ভব নয় এই ম্যাচের তীব্রতা কতটা।''
[আরও পড়ুন: নতুন দায়িত্বে ঝুলন, কিং খানের নাইট রাইডার্সের মেন্টর বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার]
বিষ্ণুর গোলে প্রথমে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। আইএসএলে নেমেও নজর কেড়েছেন বিষ্ণু। এদিন তিনি একাধিকবার মোহনবাগানের পেনাল্টি বক্সে কাঁপুনি ধরিয়ে দেন। তবে ম্যাচের রং বদলে যায় সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় নামার পরে। বাঁ দিকের উইংয়ে তিনি পাখির মতো ডানা মেলে দেন। ইস্টবেঙ্গলকে আরও উজ্জ্বল দেখায়। বিনো জর্জের দিকে উড়ে আসে প্রশ্ন, ''বিষ্ণুকে কেমন লাগল? আপনি কি খুশি?'' জবাবে বিনো বলেন, ''আপনারা বিষ্ণুকেই জিজ্ঞাসা করে দেখুন না আমি খুশি কিনা।'' বিনো জর্জ হাসছেন। তাঁর সেই হাজার ওয়াটের হাসির প্রতিফলন যেন বিষ্ণুর মুখেও। তিনি বলছেন, ''ডার্বিতে গোল করে, ম্যাচের সেরা হওয়ায় আমি খুশি।'' ডার্বি ম্যাচ নতুন তারকার জন্ম দেয়। বিষ্ণুও নতুন তারকা।
মহামেডান স্পোর্টিংয়ের জার্সিতে ডেভিড গত মরশুমে আগুন জ্বালিয়েছেন। এবার তাঁর জার্সির রং বদলেছে। ডার্বিতে তিনি অবশ্য নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। বিনো পাশে দাঁড়াচ্ছেন ডেবিডের। বলছেন, ''তিনদিনের অনুশীলন করে খেলতে নেমেছে। সময় যত এগোবে, ডেভিড আরও ভালো করবে বলেই আমার বিশ্বাস।''