সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘরের মাঠে ইস্টার্ন রেলকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। সোমবার লাল-হলুদ শিবির ৫-০ গোলে হারাল উয়াড়িকে। জোড়া গোল করেন অভিষেক কুঞ্জম। প্রথমার্ধে খেলার ফলাফল ছিল ০-০। কোনও দলই গোল করতে পারেনি। বিরতির পর খেলার রং বদলায়। ইস্টবেঙ্গল পাঁচ-পাঁচটি গোল করে। ৭০ মিনিট পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে ছিল ২-০ গোলে। খেলার শেষ লগ্নে দ্রুত তিনটি গোল করে লাল-হলুদ ব্রিগেড ম্যাচ জিতে নেয় ৫-০ গোলে।
ইস্টবেঙ্গল প্রথম গোলটি করে ৫৩ মিনিটে। গোলটি করেন দীপ সাহা। গুরনাজ সিংয়ের নিখুঁত সেন্টার থেকে গোলটি করেন তিনি।
এর কিছুক্ষণ পরে ব্যবধান আরও বাড়াতে পারত লাল-হলুদ ব্রিগেড। ৬২ মিনিটে আমনের সেন্টার থেকে ফ্লাইং হেড নিয়েছিলেন দীপ। সেই হেড পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। গোলটি হয়ে গেলে তা দর্শনীয় হত।
[আরও পড়ুন: ‘মেসির সঙ্গে অবসরের স্বপ্ন দেখি’, বলছেন উরুগুয়ের তারকা সুয়ারেজ]
ইস্টবঙ্গল ব্যবধান বাড়ায় ৭০ মিনিটে। পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামানো হয় তন্ময় দাসকে। উয়াড়ির দুই ক্লান্ত ডিফেন্ডারকে পরাস্ত করে ২-০ করেন তন্ময়। ৭৭ মিনিটে গোললাইন সেভ করেন বাঁচান উয়াড়ির ডিফেন্ডার লালসিয়েম। আরও গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল ইস্টবেঙ্গল। সেই সুযোগগুলোর সদ্ব্যবহার করতে পারলে স্কোরলাইন আরও হৃষ্টপুষ্ট দেখাত ইস্টবেঙ্গলের অনুকূলে।
উয়াড়ি অবশ্য গোল করার মতো সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারেননি উয়াড়ির লালমসাঙ্গা। লাল-হলুদ গোলকিপার আদিত্য পাত্র ব্যর্থ করেন লালমসাঙ্গার প্রয়াস। তখন খেলার বয়স ২৭ মিনিট। খেলার শেষ লগ্নে খুলে যায় উয়াড়ির ফ্লাডগেট। দ্রুত তিন-তিনটি গোল করে ইস্টবঙ্গল স্কোরলাইন নিয়ে যায় ৫-০-এ। লাল-হলুদ ব্রিগেডের হয়ে অভিষেক কুঞ্জম ৩-০ করেন। তার পরে আমনের গোলে ইস্টবেঙ্গল ব্যবধান বাড়ায় ৪-০। অভিষেক কুঞ্জম নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন আর তার ফলে স্কোরলাইন হয় ইস্টবেঙ্গল ৫ উয়াড়ি ০।
আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার ক্লাবের ১০৪-তম প্রতিষ্ঠা দিবস। বাংলাদেশ থেকে চলে এসেছেন লাল-হলুদের প্রাক্তন ফুটবলার আসলাম, গোলাম গাউস। এসে গিয়েছেন বাংলাদেশের কিংবদন্তি ফুটবলার মোনেম মুন্নার স্ত্রী সুরভী। প্রতিষ্ঠা দিবসের আগে কলকাতা লিগে উজ্জ্বল ইস্টবেঙ্গল।