শিলাজিৎ সরকার: টিম বাস নিয়ে নৈহাটি স্টেডিয়ামে পৌঁছে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। ওয়ার্ম আপও শুরু করে দিয়েছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। যে টিম লিস্ট দেওয়া হয়েছিল দুদলের, তাতে ইস্টবেঙ্গলের খেলোয়াড়দের নাম থাকলেও, মোহনবাগান ফুটবলারদের নাম ছিল না।
নৈহাটি স্টেডিয়ামে অনুপস্থিত ছিল মোহনবাগান (Mohun Bagan)। সবুজ-মেরুনের ডাগ আউট ছিল ফাঁকা। তাদের ড্রেসিংরুমেও ছিলেন না কোচ ও ফুটবলাররা। ফলে বাঙালির বড় প্রিয়, বড় আবেগের ডার্বির বলই গড়ায়নি নৈহাটি স্টেডিয়ামে। প্রায় ঘণ্টা খানেকের অপেক্ষার পরে ম্যাচ কমিশনার জানিয়ে দেন, কলকাতা লিগের ডার্বি পরিত্যক্ত হল এটা বলা যায়। ৩০ নভেম্বরের সেই ডার্বির ফলাফল জানা গেল আজ বৃহস্পতিবার।
[আরও পড়ুন: ‘কয়েকমাস আগেও প্রবল নিন্দা শুনতে হত’, সেঞ্চুরি হাঁকিয়েও অভিমানী রাহুল]
তিন পয়েন্ট দেওয়া হল ইস্টবেঙ্গলকে। ম্যাচ না খেলার জন্য শাস্তি স্বরূপ ২ পয়েন্ট কেটে নেওয়া হল মোহনবাগানের থেকে। অর্থাৎ ৩০ নভেম্বরের সেই ডার্বিতে জয়ী ঘোষণা করে দেওয়া হল ইস্টবেঙ্গলকে। বৃহস্পতিবার আইএফএর লিগ কমিটির বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সরকারি ভাবে মহামেডান স্পোর্টিংকে লিগ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করে দেওয়া হল। রানার্স ইস্টবেঙ্গল, আবির্ভাবেই তৃতীয় হল ডায়মন্ড হারবার।
কলকাতা লিগের এই ডার্বি নিয়ে মোহনবাগান ও আইএফএ-র মধ্যে টালবাহানা চলছিল। মোহনবাগানের তরফ থেকে আগে জানানো হয়েছিল, ২৭ নভেম্বর তাদের আইএসএলে ম্যাচ। তার পরের ম্যাচ ২ ডিসেম্বর। দল অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে বাইরে যাবে ৩০ নভেম্বর। সেই দিনে কীভাবে ডার্বি খেলা সম্ভব মোহনবাগানের পক্ষে? পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গল ক্লাব তাদের শেষ ম্যাচ খেলেছে ২৫ নভেম্বর। লাল-হলুদের পরের ম্যাচ ৪ ডিসেম্বর। বেশ কয়েকদিনের বিশ্রাম পাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। অথচ মোহনবাগানকে এএফসি কাপ খেলে দু দিনের বিশ্রাম নিয়েই ডার্বি খেলতে হবে। এরপরেও সবুজ-মেরুনের অনুরোধ রাখা হয়নি। ফলে মোহনবাগানও দল নামায়নি। আইএফএর তরফে এদিন ইস্টবেঙ্গলকে তিন পয়েন্ট দেওয়া হল।