স্টাফ রিপোর্টার: ৫৭ জন প্রাক্তন ফুটবলার এসে ক্লাব এবং ইনভেস্টর ইস্যুতে লাল-হলুদ (East Bengal) তাঁবুতে একসঙ্গে মিটিং করার পরেও কীভাবে সমস্যার সমাধান করা যায়, তার কোনও দিশা দেখাতে পারলেন না। প্রাক্তন ফুটবলার সুমিত মুখোপাধ্যায় উপস্থিত ফুটবলারদের বোঝানোর জন্য একজন কর্পোরেট আইনজীবী নিয়ে এসেছিলেন। তিনি ফুটবলারদের সামনে চুক্তিপত্র নিয়ে বিভিন্ন ব্যাখ্যা দেন। এর আগে সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায় (এদিন অবশ্য মিটিংয়ে আসেননি), সুকুমার সমাজপতি, চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়রা চুক্তিপত্র ইস্যুতে যা মন্তব্য করেছিলেন, এদিন ক্লাব তাঁবুতে আলোচনার পর অন্যান্য ফুটবলাররাও সেই একই মন্তব্য করলেন। পরে যা লিখিত আকারে দিলেন দুই প্রাক্তন ফুটবলার চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুকুমার সমাজপতি।
এদিন লিখিত বক্তব্যে নতুন করে যে বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তা হল, চুক্তিপত্র দেখার পর প্রাক্তন ফুটবলারদের মনে হয়েছে, ‘এক্সিট ক্লজ’ চুক্তিপত্রে ঠিকভাবে নেই। একতরফা এক্সিট ক্লজ তুলে দিয়ে উভয়পক্ষের জন্যই বিচ্ছেদের সুযোগ রাখা উচিত।
[আরও পড়ুন: Tokyo-তে দুর্দান্ত সাফল্যের পুরস্কার, পুলিশের বড় পদে মীরাবাই চানু]
তবে এদিনের আলোচনায় সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হল, প্রত্যেক প্রাক্তন ফুটবলারই বলেন, আইএসএলে (ISL) খেলতে হবে। আর ফুটবল রাইটস যেহেতু শ্রী সিমেন্টের কাছে রয়েছে, তাই ওদের দল নামাতে হবে।
এদিন, প্রাক্তন দুই ফুটবলার শ্রী সিমেন্ট কর্নধার হরিমোহন বাঙ্গুরের কাছে আবেদনও রেখেছেন, সমস্যা মিটিয়ে ফুটবল খেলতে ক্লাবের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য। সমস্যা সমাধানের জন্য একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও (Mamata Banerjee) হস্তক্ষেপ চেয়েছেন দুই প্রাক্তন ফুটবলার।
এদিন, ফুটবলারদের মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন, কর্তা দেবব্রত সরকারও। তিনি বলেন, “এতদিন চুক্তি নিয়ে আমরা বলছিলাম, এখন এতজন প্রাক্তন ফুটবলার বলছেন।” তবে বিষয়টি যেহেতু আইনি, তাই প্রাক্তন ফুটবলারদের চুক্তিপত্রর আইনি ব্যাখ্যা কতদূর গ্রাহ্য হবে, তা নিয়েই প্রবল সন্দেহ। তবে সমস্যা সমাধান হতে চলেছে বলেই খবর।