সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইনভেস্টর ‘কোয়েস’ নিয়ে সোমবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন ইস্টবেঙ্গলের কার্যকরি কমিটির সদস্যরা। সুপার কাপে কোয়েস ইস্টবেঙ্গল এফসি খেললে সব ঠিক আছে। নইলে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ভাববে। সোমবারের মিটিংয়ে কোয়েসের প্রতি এমনই বার্তা দিতে চলেছেন ইস্টবেঙ্গল কার্যকরি কমিটির সদস্যর।
সুপার কাপ এবং আইএসএল নিয়ে ক্লাবের অবস্থান জানার জন্য ইস্টবেঙ্গল সভাপতি ডাঃ প্রণব দাশগুপ্তকে চিঠি দিয়েছিলেন ফেডারেশন সচিব কুশল দাস। তারই প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নিতে ক্লাব তাঁবুতে মিটিং। যেখানে সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কোয়েস কর্ণধার অজিত আইজ্যাককেও। তিনি থাকতে না পারলে কোয়েসের তরফে কোনও প্রতিনিধি আসতে পারেন। কিন্তু শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অজিত আইজ্যাক আসছেন না। কোয়েসের অন্য কেউও থাকছেন না।
[এবার সত্যরূপের লক্ষ্য উত্তর মেরু, অনন্য নজিরের অন্তরায় বিপুল অর্থ]
বেশ কিছু সমর্থক প্রথমদিন থেকে কোয়েসকে সমর্থন জানিয়ে আসছে। আবার সুপার কাপে না খেলার জন্য তৈরি হয়েছে, মেম্বার ফোরাম নামে সংগঠন। যারা এই ইস্য়ুতে কোয়েসের সমালোচনা শুরু করেছে। এমনিতে নিজেদের মাঠে প্র্যাকটিস না করার জন্য কোয়েসের সমালোচনায় মুখর ছিল ক্লাব। ক্লাবের বক্তব্য ছিল, এই মাঠে খেলেই সুধীর কর্মকার থেকে বাইচুং ভুটিয়া যদি অজুর্ন, পদ্মশ্রী পাওয়ার মতো জায়গায় পৌঁছতে পারে, তাহলে এই মরশুমে দলে কোন ফুটবলার ছিলেন, যাঁরা ইস্টবেঙ্গল মাঠে প্র্যাকটিস করতে পারবে না?
সুপার কাপ এবং আইএসএল নিয়ে মিটিং হলেও ইনভেস্টরের প্রতি কার্যকরী কমিটির সদস্যদের এতদিনের ক্ষোভের কথা মিটিংয়ে উঠবে। বেশ কিছু সমর্থক প্রস্তুতি নিচ্ছেন মিটিংয়ে কার্যকরি কমিটির সদস্যদের কাছে দাবি রাখবে, সুপার কাপ-সহ সব প্রতিযোগিতায় খেলতে হবে। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের আসল উদ্দেশ্য ফুটবল খেলা। তা হলে..।
কিছুদিন আগে ক্লাব সচিব কল্যাণ মজুমদার প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ইস্টবেঙ্গল ক্লাব সুপার কাপে খেলতে চায়। সোমবারের মিটিংয়ে সেই সিদ্ধান্তকে সরকারিভাবে সিলেমাহর দেওয়া হবে। কিন্তু কোয়েস যদি আগের সিদ্ধান্তেই অবিচল থাকে? কোয়েস জানিয়েছে, ফেডারেশনের সিদ্ধান্ত বদল না হলে ইস্টবেঙ্গল সুপার কাপে খেলবে না। তাই কোয়েস ইস্য়ুতে বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব।
অনেকদিন ধরে কোয়েসের সঙ্গে ক্লাব কর্তাদের ব্যবধান তৈরি হয়ে গিয়েছিল। সুপার কাপকে কেন্দ্র করে তা মারাত্মক আকার নেয়। যেহেতু ইনভেস্টর, তাই অনেক ব্যাপারে সন্তুষ্ট না হলেও নিজেদের গুটিয়ে থাকতেন কর্তারা। সম্প্রতি দলের মিটিংয়ে সবাই মিলে শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকারের কাছে চূড়ান্ত ক্ষোভ দেখান। সেখানে না কী দলের সবাইকে তিনি আশ্বস্ত করেন, কোয়েস চলে গেলেও ক্লাবের সমস্যা হবে না। ক্লাবকে অগ্রাহ্য করে কোয়েসের এককভাবে নেওয়া সব সিদ্ধান্ত মানা হবে না।
তাহলে উপায়? সোমবার মিটিংয়ের পর ক্লাবের পক্ষ থেকে শেষবারের মতো খেলার জন্য অনুরোধ করা হবে। বলা হবে, এবার থেকে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ক্লাবের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে বিচ্ছেদের কথাই বলা হবে কোয়েসকে। ফলে দু’পক্ষের যুদ্ধ আসন্ন। ক্লাব কর্তারা বলছেন, এর আগেও ইউবির মতো বড় কর্পোরেট সংস্থা ছিল। কিন্তু কোনওদিন কোনও সমস্যা হয়নি। এবার যখন শুরু থেকেই এরকম সমস্যা। তখন মনে হয় না, এরপরে কোয়েসের সঙ্গে আর চলা যেতে পারে।
ইস্টবেঙ্গল খেলতে চাইল। কিন্তু কোয়েস চাইল না। তাহলে সুপার কাপে খেলার কী হবে? চুক্তি অনুযায়ী ইস্টবেঙ্গল কর্তারা চাইলেও খেলা সম্ভব নয়। যতক্ষণ না কোয়েস ইস্টবেঙ্গল এফসি খেলবে। তাই সুপার কাপে খেলা সম্ভব হচ্ছে না ইস্টবেঙ্গলের। ফেডারেশন তাই তাকিয়ে ইস্টবেঙ্গলের সিদ্ধান্ত দিকে।
The post সুপার কাপ নিয়ে অন্তর্দ্বন্দ্ব, কোয়েসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের পথে ইস্টবেঙ্গল appeared first on Sangbad Pratidin.