দুলাল দে: এফএডিএলের (FSDL) হস্তক্ষেপে যখন মনে হচ্ছিল, যাবতীয় মেঘ কেটে গিয়ে আলো ফোটার আভাস দেখা যাচ্ছে ‘ইস্টবেঙ্গল’ নামক ঘনঘটার আকাশে। ঠিক তখনই ফের ইস্টবেঙ্গলের আকাশে কালো দুর্যোগের ছায়া। শ্রী সিমেন্টের পাঠানো নতুন চুক্তিপত্র দেখে এদিন ক্লাবের কার্যকরী কমিটি সিদ্ধান্ত নিল, কিছুতেই শ্রী সিমেন্টের পাঠানো চুক্তিপত্রে সই করা হবে না। ফলে এই মরশুমে আইএসএল (ISL) এবং কলকাতা লিগ নিয়ে ক্লাবের খেলার ভবিষ্যৎ যেখানে ছিল, সেখানেই আছে। শুধুই অন্ধকার।
এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan) যেখানে একের পর এক ফুটবলার সই করিয়ে নিচ্ছে, সেখানে এসসি ইস্টবেঙ্গল (SC East Bengal) এই মরশুমে আদৌ খেলবে কি না, তা নিয়েই ঘোর সংশয়। ফলে পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য এফএসডিএলের মধ্যস্থতায় টার্মশিটের থেকে কিছু পয়েন্ট পরিবর্তন করে আর একটি চুক্তিপত্র তৈরি করা হয়েছে। আশা করা গিয়েছিল, ক্লাবের সঙ্গে আলোচনার পরই যেহেতু নতুন করে কিছু পয়েন্টের সংযোজন ঘটিয়ে ফের চুক্তিপত্র তৈরি হয়েছে। তাহলে এবার হয়তো সমস্যা মিটতে চলেছে। কিন্তু এদিন ক্লাবের কার্যকরী কমিটির মিটিংয়ে নতুন চুক্তিপত্র প্রকাশ করা হলে, কমিটির সদস্যরা বলেন, নতুন চুক্তিপত্রর শর্তগুলি পুরনো চুক্তিপত্রর শর্তর থেকেও ভয়ংকর। ফলে কোনওমতেই সই করা হবে না।
[আরও পড়ুন: ঘর গোছাচ্ছে ATK Mohun Bagan, কার্ল ম্যাকহিউজের সঙ্গে চুক্তি বাড়াল সবুজ-মেরুন]
এই মরশুমে আইএসএল খেলতে না পারলে, কলকাতা লিগ-সহ কোনও প্রতিযোগিতাতেই আর খেলা সম্ভব নয় লাল-হলুদের। এদিকে, আগস্টে কলকাতা লিগ শুরু হওয়ার কথা। যদিও এখনও দল গঠনের কাজই শুরু করেনি এসসি ইস্টবেঙ্গল। এমনকী, সংস্থার পক্ষ থেকে পরিস্কার জানিয়েও দেওয়া হয়েছে, চুক্তিপত্রে সই না হলে, কোনওভাবেই খেলা সম্ভব নয়। আর ক্লাবের তরফে যে আলোচনায় বসার কথা বলা হচ্ছে, তা তখনই সম্ভব, যখন চুক্তিপত্রে সই করার পর কোম্পানির বোর্ডে ক্লাবের তরফে দু’জন প্রতিনিধি আসবেন। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে যা পরিস্থিতি, তাতে চুক্তিপত্রে সই না করলে, এই মরশুম কেন, ভবিষ্যতেও ইস্টবেঙ্গলকে ফুটবল না খেলেই কাটাতে হবে। কারণ, ক্লাবের যাবতীয় স্পোর্টিং রাইটস শ্রী সিমেন্টকে দিয়ে বসে আছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব।