সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওড়িশা জয় করে শহর কলকাতায় পৌঁছল সুপার কাপ জয়ী ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। রবিবার রাতে মহানদীর তীবে শাপমুক্তি ঘটে লাল-হলুদের। রেফারির শেষ বাঁশির পর থেকেই উদযাপন চলছে। শহর কলকাতায় উড়ছে লাল-হলুদ আবির। লাল-হলুদ পতাকা উড়িয়ে বাইক ছুটে চলেছে। বিমানবন্দরে জনসমুদ্র। সমর্থকদের ভিড়। সঙ্গে স্লোগান। ফাইনালের গোলদাতা ক্লেটন সিলভা, সল ক্রেসপোরা সাক্ষাৎ বীর। সোমবার সেই বীরপুজোই চলছে।
২০১২ সালে শিলিগুড়ি থেকে ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফিরেছিল ইস্টবেঙ্গল। তার পরে লেসলি ক্লডিয়াস সরণীতে ঢোকেনি সর্বভারতীয় স্তরের কোনও ট্রফি। এক যুগ পরে ইস্টবেঙ্গলে ট্রফি এল। সেই কারণেই এবার সমর্থকদের উচ্ছ্বাস-আনন্দ বেশি। বিমানবন্দরে এতটাই ভিড় যে বাইরে আসতে সময় নিচ্ছিল টিম ইস্টবেঙ্গল। ভিড় সামাল দিতে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের উদ্দেশে মাইকিং করেন বিধাননগর পুলিশ। ক্লাবের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকারও সমর্থকদের উদ্দেশে ভিড় কমানোর আবেদন করেন।
[আরও পড়ুন: ‘আকাশে চমক’, জকোভিচের সঙ্গে হঠাৎই দেখা স্ট্যালিনের]
রিজার্ভেশন না পেয়ে ট্রেনের মেঝেতে শুয়ে প্রিয় দলকে সমর্থন করার জন্য ভুবনেশ্বরে গিয়েছিলেন সমর্থকরা। রক্তের গতি বাড়িয়ে দেওয়া ফাইনালের প্রতিটি মুহূর্তে দলকে সমর্থন করে গিয়েছেন সমর্থকরা। দল জেতার পরেও একই ধরনের উচ্ছ্বাস। একই রকমের ভালোবাসা। যেদিকে তাকানো যায়, সেদিকেই শুধু লাল-হলুদের আধিক্য। বাজছে ঢাক-ঢোল। সমর্থকরা আবেগে নাচছেন। অনেকেই আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। চোখ থেকে নেমে আসে জলের ধারা। একই ভাবে তো রবিবার কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে চোখের জল ফেলেছিলেন সমর্থকরা। বারো বছরের শাপমুক্তির পরে অবশেষে স্বস্তি। সামনেই আইএসএল ডার্বি। কার্লেস কুয়াদ্রাত পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছেন সেই ডার্বির।