স্টাফ রিপোর্টার: এখন আর সেরকম ফুটবলার নেই, যাঁদের নিয়ে দলবদলের বাজারে টানাটানি হতে পারে। কিন্তু গত মরশুমে ভাল খেলা হীরা মণ্ডলকে নিয়ে শেষমুহূর্তে ইস্টবেঙ্গল ও বেঙ্গালুরু এফসির (Bengaluru FC) টানাটানিতে পরের মরশুমে কোন ক্লাবে খেলবেন তিনি, সেই ঘোষণাই আটকে গেল।
ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে অনেকটাই কথা এগিয়ে গিয়েছিল হীরার। কিন্তু ইমামির (Emami) সঙ্গে চুক্তি নিয়ে টালবাহানা হওয়ায় গত মরশুমে ভাল খেলা উইং ব্যাকটি বুঝে উঠতে পারছিলেন না ইস্টবেঙ্গলে তার ভবিষ্যৎ কী হবে। তিনিও চাইছিলেন ইস্টবেঙ্গলে (East Bengal) খেলতে। কিন্তু শেষমুহূর্তে যদি চুক্তি নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়, তাই আর অপেক্ষা করতে পারছিলেন না। ঠিক এই সময়ই বেঙ্গালুরু এফসি প্রস্তাব দেয় হীরাকে। ইস্টবেঙ্গলের জন্য অপেক্ষা করতে করতে শেষমেশ বেঙ্গালুরুকে হ্যাঁ বলে দেন এই সাইডব্যাক। বেঙ্গালুরুর আর্থিক প্রস্তাবও ইস্টবেঙ্গলের চেয়ে অনেকটাই বেশি ছিল হীরার কাছে।
[আরও পড়ুন: দেশে অপরিশোধিত তেল বিক্রিতে নিয়ন্ত্রণ উঠল, অর্থনীতি চাঙ্গা করতেই সিদ্ধান্ত, দাবি কেন্দ্রের]
এদিন দুপুরে কথা মতো বেঙ্গালুরুর পাঠানো ড্রাফটে সই করে দেন হীরা (Hira Mondal)। ঠিক ছিল, এদিন ঘোষণাও করে দেবেন সামনের মরশুমে বেঙ্গালুরুতে খেলার কথা। কিন্তু ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যেতেই হীরাকে আটকানোর জন্য আসরে নেমে পড়েন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। চলে যান তাঁর বাড়ি। বোঝান, বেঙ্গালুরুর সঙ্গে চুক্তি বাতিল করতে। লাল-হলুদের পক্ষ থেকে হীরাকে জানানো হয়, কয়েকদিনের মধ্যে তাদের সঙ্গে ইমামির চুক্তি সম্পন্ন হবে। বুধবারও ইস্টবেঙ্গল এবং ইমামি কর্তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছেন। দু’পক্ষই জানিয়েছে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির শর্ত নিয়ে আলোচনা হয়ে গিয়েছে। এবার দু’পক্ষের শর্ত মেনে খসড়া তৈরির কাজ শেষ হলেই চুক্তি সই হয়ে যাবে। তারপরই সরকারিভাবে তাঁকে সই করিয়ে নেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: এবার বিধায়ক কেনাবেচাতেও দিতে হবে GST! মুখ ফসকে এ কী বললেন নির্মলা? কটাক্ষ তৃণমূলের]
এর পরেই হীরা যোগাযোগ করেন বেঙ্গালুরুর কর্তাদের সঙ্গে। অনুরোধ করেন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওযার জন্য আরও কয়েকটি দিন হাতে চান। সেই মতো বেঙ্গালুরুর কর্তারাও তাদের ফুটবলার হিসেবে হীরার নাম ঘোষণা করেননি। এদিকে, গোলকিপার আর্শ আনোয়ারের সঙ্গে আরও তিন বছরের চুক্তি করল মোহনবাগান।