ধীমান রায়, আউশগ্রাম: একটি খুনের মামলায় অপরাধীদের সন্ধানে তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ। রবিবার রাতে পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামের সোমাইপুর গ্রামের ঘটনা।
জানা গিয়েছে, উত্তেজিত গ্রামবাসীদের হাতে বেধড়ক মার খেয়েছেন আউশগ্রাম থানার আইসি আবদুল রব খান এবং সেকেন্ড অফিসার এসআই উত্তম মণ্ডল। তাঁদের উদ্ধার করে গুসকরা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে অবস্থা গুরুতর বুঝে আইসিকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: মোদির ডাকে সাড়া! জম্মু-কাশ্মীরের বাড়িতে তেরঙ্গা ওড়ালেন হিজবুল জঙ্গির ভাই]
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নখকুনির যন্ত্রণার জন্য গ্রামেই এক হাতুড়ে চিকিৎসকের কাছে ওষুধ আনতে গিয়েছিলেন সোমাইপুর লাইকিংপাড়ার বাসিন্দা সুমি সোরেন। বুধবার তাঁর রক্তাক্ত মৃতদেহ বাড়ির কাছাকাছি মাঠে উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনার পর থেকে এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। সেই থেকেই এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ছিল। এনিয়ে দু’দিন আগে পুলিশের কাছে ডেপুটেশন দিয়েছিলেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন রাত পৌনে আটটা নাগাদ সোমাইপুর গ্রামে তদন্তে গিয়েছিল পুলিশ। ছিলেন আইসি আবদুর রব খান এবং সেকেন্ড অফিসার উত্তম পাল। জানা গিয়েছে, পুলিশ সোমাইপুর আদিবাসী পাড়ার একজন যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করে নিয়ে আসছিল। তখনই পাড়ার লোকজন জড়ো হয়ে পুলিশকে ঘিরে ধরে। তারপর শুরু হয় বেধড়ক মার। আইসি, সেকেন্ড অফিসার-সহ একজন কনস্টেবল আহত হন। অন্যান্য পুলিশকর্মীরা তাদের কোনওরকমে উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে এলাকায় যায় আরও পুলিশবাহিনী। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।