ইস্টবেঙ্গল- ১ (উইলিস প্লাজা)
শিলং লাজং-১ (স্যামুয়েল লালমুয়ানপুইয়া)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডার্বিতে গোলের মুখ খুলতে পারেননি ফুটবলাররা। সমর্থকরাও একটু হতাশই হয়েছিলেন। একইসঙ্গে ফুটবল বিশেষজ্ঞরা বেশ সমালোচনাই করেছিলেন সাহেব কোচের ডিফেন্সিভ স্ট্র্যাটেজি নিয়ে। তাই লাজংয়ের সঙ্গে আই লিগের ম্যাচ জেতার জন্য মুখিয়ে ছিলেন ইস্টবেঙ্গলের কোচ ট্রেভর জেমস মর্গ্যান। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগান এক ম্যাচ কম খেলে ঠিক তিন পয়েন্ট পিছনে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে দাঁড়িয়ে। এই অবস্থায় জেতাই প্রধান লক্ষ্য ছিল ব্রিটিশ কোচের। কিন্তু সেই লক্ষ্য অধরাই রয়ে গেল তাঁর। শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে শিলং লাজংয়ের সঙ্গে ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হল লাল-হলুদ শিবিরকে। ম্যাচ শেষ হল ১-১ স্কোরে। প্রথমে পিছিয়ে পড়ে বিরতির ঠিক মুখে গোল শোধ করেন ইস্টবেঙ্গলের ত্রিনিদাদের ফরোয়ার্ড উইলিস প্লাজা। লাজংয়ের হয়ে গোল করেন লালমুয়ানপুইয়া।
(কর ফাঁকির অভিযোগে হাজিরা দেবেন না সানিয়া)
এদিন গোলশূন্য ডার্বি ম্যাচের রেশই দেখা গেল লাল-হলুদ ব্রিগেডের মধ্যে। আই লিগের শুরুর দিকে দলের খেলায় যে ঝাঁজটা ছিল তা প্রায় উধাও। গা-ছাড়া মনোভাব। এদিন শুরু থেকেই নতুন বিদেশি ক্রিস্টোফার পেইনকে নামান মর্গ্যান। রিজার্ভ বেঞ্চে বসিয়েছিলেন রবিন সিংকে। পেইনের থেকে তেমন আহামরি ফুটবল দেখা গেল না। এদিন প্রথমার্ধের ২০ মিনিটে এগিয়ে যায় মেঘালয়ের দল। লাজংয়ের বিপিনের ক্রসে হেড করে গোল করে যান স্যামুয়েল লালমুয়ানপুইয়া। তারপর একের পর ইস্টবেঙ্গল বক্সে আক্রমণ শানাতে থাকে লাজং। তবে গোল শোধ করার চেষ্টা করছিল ইস্টবেঙ্গল। ৪৪ মিনিটের মাথায় মেহতাবের ভুল পাসের বড়সড় খেসারত দিতে হচ্ছিল লাল-হলুদ শিবিরকে। লাজংয়ের ডিপান্ডাকে গিফ্ট পাস দেন মেহতাব। তখন ডিপান্ডাকে ইস্টবেঙ্গলের বিদেশি স্টপার বুকেনিয়া ফাউল করতেই ফ্রি-কিক পেয়ে যায় লাজং। আইসাকের ফ্রি-কিক থেকে গোলও হয়ে যায়। কিন্তু ডিপান্ডা অফসাইড হয়ে যাওয়ায় সেই গোল বাতিল করে দেন রেফারি। এরপর খেলার গতির বিপরীতে ৪৫ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের কাঙ্খিত গোলটি আসে প্লাজার কাছ থেকে। নারায়ণ দাসের ক্রস থেকে গোল করে চলতি আই লিগের ছয় নম্বর গোলটি করে ফেললেন প্লাজা। সেই সঙ্গে ছুঁয়ে ফেললেন মোহনবাগানের ডাফিকে। সেরা গোলদাতার তালিকায় এখন যুগ্মভাবে শীর্ষে ডাফি এবং প্লাজা। বিরতিতে ১-১ ফলে মাঠ ছাড়ে দুই দল।
(সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুষ্কাকে নিজের ‘ভ্যালেন্টাইন’ বললেন বিরাট)
দ্বিতীয়ার্ধে ডিফেন্সে গুরবিন্দরের জায়গায় অর্ণবকে নামান মর্গ্যান। তার কিছুক্ষণ পর পেইনকে তুলে রবিন সিংকে নামান তিনি। পেইনের পারফরম্যান্স দেখে মনে হচ্ছে তাঁর অবস্থাও আমিরভের মতো হতে চলেছে। এরপরে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চলতে থাকে দুই দলের। কিন্তু গোল আর আসে না। ৭১ মিনিটে নিখিল পুজারিকে তুলে নিয়ে রোমিও ফার্নান্ডেজকে নামান মর্গ্যান। তবুও গোল আসেনি। শেষপর্যন্ত খেলা শেষ হয় ১-১ স্কোরেই। ২০১৩ সালের আই লিগে ডার্বির পর সাতটি ম্যাচ খেলে একটিতে জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে কি? এমন প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে ময়দানে।
The post শিলিগুড়িতে লাজংয়ের কাছেও আটকে গেল ইস্টবেঙ্গল appeared first on Sangbad Pratidin.