সুব্রত বিশ্বাস: নতুন বছরের গোড়ার দিকেই স্বাভাবিক হয়ে যাবে দূরপাল্লায় ট্রেন (Train) চলাচল। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পূর্ব রেলের ৫৪ জোড়া ট্রেন চলাচল শুরু হয়ে যাচ্ছে। বাকি ট্রেনগুলি চালু হতে আর দু’মাস সময় লাগবে বলে খবর। প্রায় সাড়ে আট মাস বাদে মঙ্গলবার চাকা গড়াল লালগোলা এক্সপ্রেসের। তবে যাত্রী সংখ্যা ছিল অনেকটাই কম। রেলের ধারণা, এই ট্রেন চালুর খবর অনেকেই জানতেন না।
কলকাতা স্টেশন থেকে ৪১৪ জন যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি প্রথম রওনা দিল। দীর্ঘদিন বাদে আশানুরূপ যাত্রী না হওয়ায় রেল কর্তৃপক্ষ মনে করেছে, বেশিরভাগ যাত্রী ট্রেন চলার বিষয়টি জানেন না। দ্বিতীয় শ্রেণিতে ৬০০ আসনের মধ্যে ৩৯০টি এদিন ভরতি হয়। এসি কামরায় ১০০ আসনের মধ্যে যাত্রী হয়েছেন ২৪ জন। এদিন চালু হওয়া কলকাতা-বালুরঘাট এক্সপ্রেসের অবস্থা প্রায় একই। দ্বিতীয় শ্রেণির হাজার আসনের মধ্যে পূর্ণ হয়েছিল ২৫০টি। তবে এসি ৩৫টির মধ্যে ৩৪টিতেই যাত্রী হয়েছিল।
[আরও পড়ুন : বেড়েই চলেছে অন্ধ্রের ‘রহস্যময়’ অসুখে আক্রান্তের সংখ্যা! নেপথ্য কারণ হিসেবে উঠে এল এই তথ্য]
নিউ নর্মাল-এ স্বাভাবিকতার দিকে দ্রুত এগোচ্ছে রেল। পূর্ব রেলের মোট ১০৬ জোড়া দূরপাল্লার ট্রেন রয়েছে। আগামী ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে পঞ্চাশ শতাংশের বেশি দূরপাল্লার ট্রেন চালু হয়ে হচ্ছে। এখন পঁচিশ জোড়া ট্রেনের সঙ্গে ন’টি পুজো স্পেশ্যাল ট্রেন চলছে। ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে আরও কুড়ি জোড়া ট্রেন চালু হয়ে যাবে। পূর্ব রেলের প্রিন্সিপাল চিফ অপারেশন ম্যানেজার ইউকে বল বলেন, “নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৫৪ জোড়া ট্রেন বোর্ডের অনুমতি নিয়ে চলা শুরু করেছে বা করবে।” পূর্ব রেলের মোট ১০৬ জোড়া ট্রেনের সবকটি চালু হতে আরও মাস দুয়েক সময় লাগবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আনলক পর্যায়ে ক্রমান্বয়ে ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দিন দশেক বাদে বাদে পাঁচ থেকে দশটি ট্রেনের অনুমোদন দিচ্ছে রেলবোর্ড। এই মুহূর্তে সব ট্রেনে স্পেশ্যাল করে চালানোর ফলে বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। এদিকে সব সিট সংরক্ষিত থাকায় সাধারণ মানুষ যাত্রা করতে পারছেন না বলে অভিযোগ। রেল জানিয়েছে, অসংরক্ষিত কামরা চালু করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অনুমতি দরকার। পরিস্থিতি অনুধাবন করে তারা নির্দেশ দিলেই অসংরক্ষিত টিকিট মিলবে।