গৌতম ব্রহ্ম: ফের খারিজ হয়ে গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর মুখোমুখি বৈঠকের সম্ভাবনা। আগামী ৫ নভেম্বর নবান্নে পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করার কথা ছিল খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর। কিন্তু দিল্লি সূত্রের খবর, বিশেষ কারণে ৫ নভেম্বর নবান্নে আসতে পারবেন না শাহ। তাই আপাতত এই বৈঠক স্থগিত।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫ নভেম্বর অমিত শাহ মন্ত্রকের একটি বিশেষ কাজে ব্যস্ত থাকবেন। তাই ওইদিন সম্ভবত তিনি নবান্নে আসতে পারবেন না। সেকারণে পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের (Eastern Zonal Security Council) বৈঠক আপাতত স্থগিত রাখা হতে পারে। ইতিমধ্যেই মৌখিকভাবে নবান্নকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। যদিও কবে পুনরায় ওই বৈঠকের আয়োজন করা হবে, সেটা এখনও জানানো হয়নি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ৫ নভেম্বরের ওই হাই প্রোফাইল বৈঠকের ভবিষ্যৎ ঠিক হয়ে যাবে বলে সূত্রের খবর।
[আরও পড়ুন: ‘বিজেপিতে স্বস্তি নেই’, কংগ্রেসে প্রত্যাবর্তন গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ছেলের]
বাংলা, ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড। এই চার রাজ্য পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য। এই পরিষদের চেয়ারম্যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এবং ভাইস চেয়ারম্যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৫ নভেম্বর নবান্নের সভাঘরে এই পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। প্রথামাফিক এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্র সচিবের। বৈঠকে অংশ নেওয়ার কথা ছিল চার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরও। স্বাভাবিকভাবেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর মুখোমুখি হওয়ার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ না আসতে পারায় সেই সম্ভাবনা আপাতত খারিজ হয়ে গেল।
[আরও পড়ুন: এক সপ্তাহে তিন গণধর্ষণ ত্রিপুরায়, তিরে মন্ত্রীপুত্র! গ্রেপ্তার চেয়ে পথে তৃণমূল]
উল্লেখ্য, দিন দুই আগেই হরিয়ানায় দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের চিন্তন শিবিরে মুখ্যমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সেই চিন্তন শিবিরের রাজ্যের তরফে মুখ্যমন্ত্রী যোগ দেননি। তাঁর বদলে পাঠানো হয়েছিল এডিজি হোমগার্ডকে। রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছিল, উৎসবের মরশুমে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য মুখ্যমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রসচিবের রাজ্যে থাকা প্রয়োজন। ওই চিন্তন শিবিরে মুখ্যমন্ত্রী যোগ না দেওয়ায় ৫ তারিখ নবান্নের চিন্তন শিবিরের দিকে নজর ছিল রাজনৈতিক মহলের। এবার সেটাও পিছিয়ে গেল।