মাসুদ আহমেদ, শ্রীনগর: তিনদিনের মধ্যে দ্বিতীয়বার ইডির জেরার মুখে পড়লেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ফারুক আবদুল্লা। সোমবারের পর বুধবার ফের তাঁকে জেরার জন্য ডেকে পাঠায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এদিন আবার বর্ষীয়ান নেতার জন্মদিনও। এদিনও ইডির জেরাকে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’ বলে কটাক্ষ করেছেন তাঁর ছেলে ওমর আবদুল্লা-সহ দলের অন্যান্য নেতা-কর্মীর।
২০০২ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশানে ৪৩ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকা তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। সেই দুর্নীতির অভিযোগে ফারুক আবদুল্লা-সহ মোট চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিটও ফাইল করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।সেই সূত্রেই বর্ষীয়ান নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি। গৃহবন্দী দশা থেকে মুক্তি পাওয়ার পর দু’বার তাঁকে জেরা করল এই সংস্থা।
[আরও পড়ুন : মহারাষ্ট্রের রাজ্যপালের কাছে ‘লাভ জিহাদ’ নিয়ে নালিশ, বিতর্কে মহিলা কমিশনের প্রধান]
ইডির এই পদক্ষেপকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে অভিহিত করেছে এনসিপি। এদিন টুইটারে তাঁর ছেলে তথা রাজনীতিবিদ ওমর আবদুল্লা লেখেন, “বাবাকে জেরা করতে ফের ডাকল ইডি। তাও আবারর ৮৪তম জন্মদিনে!” দলীয় বিবৃতিতে এনসিপি মুখপাত্র ইমরান নবি দারের দাবি, “ইডির পরিকল্পিত পদক্ষেপ।” তাঁদের অভিযোগ, “বিজেপির বিরুদ্ধে মুখ খুললেই সিবিআই, ইডি সহ একাধিক কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে বিরোধীদের মুখবন্ধ করানোর এই ছক অনেক পুরনো। কেউ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বললেই তাঁর বিরুদ্ধে এই সংস্থাগুলিকে প্রয়োগ করা হয়। আমরা জানতাম, এরকম কিছু হবে।” তাঁদের কথায়, “কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ফেরাতে আমরা আন্দেলনে নেমেছি। গুপকার ডিক্লেয়ারেশন মেনে পিপলস অ্যালিয়েন্স করেছি। এরপরই ইডি চিঠি পাঠায়।”
[আরও পড়ুন : পাঞ্জাবে চালু হবে না বিতর্কিত কৃষি আইন! বিধানসভায় পালটা বিল কংগ্রেস সরকারের]
২০১৯-এর ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ দিন। ওই রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা তুলে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ – দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করে দেওয়ার আইন পাশ হয় সংসদে। সম্প্রতি ফারুক আবদুল্লার নেতৃত্বে রাজ্যের সবক’টি রাজনৈতিক দল একজোট হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৩৭০ ধারার ফেরানোর দাবিতে তারা আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এরপর গত তিনদিনে পরপর দুবার জোটের মূল কান্ডারী ফারুক আবদুল্লাকে জেরা করল ইডি। এর পিছনে যড়যন্ত্র দেখছে রাজনৈতিক মহল।