ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: পুজোর আগে থেকেই রাজ্যের একাধিক দুর্নীতির কিনারা করতে ইডি (ED), সিবিআইয়ের তৎপরতা দেখা গিয়েছিল। মহালয়ার আগেই ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, রথীন ঘোষের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সকাল থেকে সন্ধে টানা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ চলেছে। তা নিয়ে তৃণমূল তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। প্রতিটি তল্লাশি অভিযানই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রমূলক, মত শাসকদলের নেতানেত্রীদের। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রীও (CM Mamata Banerjee) সে বিষয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানালেন। খুলে বললেন ইডি, সিবিআইয়ের ‘অত্যাচার’-এর কথা।
বারবার ইডি, সিবিআইয়ের (CBI) তল্লাশি নিয়ে এদিন গোড়া থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ”পুজোর আগে রথীনের বাড়িতে, ববির বাড়িতে গিয়েছে। আজ বালুর বাড়ি। আমাকে ববির বউ বলছিল, ইডি তল্লাশির নামে কী কী করেছে। অফিসাররা রান্নাঘরে ঢুকে চিনির কৌটো উলটে দিয়ে গিয়েছে। ঘি-এর কৌটো উলটে দিয়েছে। আলমারি খুলে শাড়ি, সালোয়ার কামিজ সব দেখেছে। আরে একটা মেয়ের বিয়ে হলে অনেক শাড়ি, নানা ড্রেস, কসমেটিক্স থাকে। সেইসব শাড়ি, জামার ছবি তুলেছে। হিসেব নিয়েছে কটা শাড়ি, কটা কসমেটিক্স।” এর পর তিনি আরও বলেন, ”ওরা কাউকে গ্রেপ্তার করার পর এমন এমন সব অত্যাচার করে। প্রাইভেট জায়গায় অত্যাচার করে। আর নাম বলতে বলে। কী অত্যাচার, কী অনাচার!”
[আরও পড়ুন: টাকার বদলে প্রশ্ন ইস্যুতে মহুয়ার বিপদ বাড়ছে? এবার তৃণমূল সাংসদকে তলব এথিক্স কমিটির]
গত ৮ অক্টোবর সকাল থেকে ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে সিআরপিএফ (CRPF) জওয়ান-সহ তল্লাশি চালায় ইডি। সন্ধে পর্যন্ত চলে সেই তল্লাশি। তদন্তকারীরা বেরিয়ে যাওয়ার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন ফিরহাদ। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “আমি কি চোর? কেন বারবার এভাবে তল্লাশি? বিজেপির (BJP) খাতায় নাম লেখাইনি বলেই কি এভাবে হেনস্তা? চেতলায় বড় হয়েছি। আটবার জয়ী হয়েছি। বাংলার রাজনীতিতে আমার অনেক দিন হল। কেউ বলতে পারবে না যে কোনও কিছুর জন্য আমাকে একটাকাও দিয়েছে। তারপরও এভাবে হেনস্তা।” আর এদিন তল্লাশির নামে কী কী হয়, তা প্রকাশ্যে আনলেন মুখ্যমন্ত্রী।