shono
Advertisement

হাওয়ালায় ১১ কোটি লেনদেন, ১০০ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ‘কালীঘাটের কাকু’র বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ED

'সাহেবের নাম বলার জন্য় কোনও চাপ দেওয়া হয়নি', দাবি সুজয় ভদ্রর।
Posted: 06:57 PM Jun 14, 2023Updated: 07:02 PM Jun 14, 2023

অর্ণব আইচ: ‘কালীঘাটের কাকু’ সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল ইডির (Enforcement Directorate) তদন্তে। হাওয়ালার মাধ্যমে প্রায় ১১ কোটি টাকা নিজের বিভিন্ন সংস্থার অ্যাকাউন্টে জমা করেছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। শুধু তাই নয়, হাওয়ালার কোটি টাকার বিনিময়ে প্রচুর জমি, সম্পত্তি কিনেছেন তিনি। তাঁর নামে ১০০টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে বলেও দাবি তদন্তকারীদের। একইসঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তকে ভুল পথে চালনা করার অভিযোগও এনেছে ইডি। ২৮ জুন পর্যন্ত তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। 

Advertisement

বুধবার জোকার ইএসআইয়ে স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর ব্যাঙ্কশাল আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে। আদালতে যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নিজের তোলা পুরনো অভিযোগ নিজেই খারিজ করে দেন। বলেন, “সাহেবের নাম বলার জন্য় কোনও চাপ দেওয়া হয়নি।” উল্লেখ্য, ইডি তাঁকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলতে চাপ দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন আগে। এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করে ইডি।

[আরও পড়ুন: ISF-এর ৩ প্রার্থীকে ভাঙড়ে মনোনয়নে বাধা! পুলিশকে বিশেষ নির্দেশ হাই কোর্টের]

আদালতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট দাবি করে, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’র নিয়ন্ত্রণাধীন একাধিক সংস্থার হদিশ মিলেছে। যাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে হাওয়ালার ১০ কোটি টাকা জমা পড়েছে। অতিরিক্ত ১ কোটি টাকা জমা পড়েছে। সেই টাকা দিয়ে প্রচুর জমি ও সম্পত্তি কিনেছিলেন ‘কালীঘাটের কাকু’। এদিকে, তাঁর স্বরের নমুনা পরীক্ষার আবেদন জানিয়েছ ইডি। এবিষয়ে কলকাতা সিএফএসএল যাতে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করে তাঁর আরজিও জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। কেন কালীঘাটের কাকুর স্বর পরীক্ষা করাতে চাইছে ইডি?

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ঘনিষ্ঠ সিভিক ভলান্টিয়ার রাহুল বেরাকে পাঠানো একাধিক অ্যাডমিট কার্ড, রেজাল্ট মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন সুজয় ভদ্র। ফোন, হোয়াটঅ্যাপ ঘেঁটে সেই তথ্য উদ্ধার করেছে ইডি। এবার সেই স্বরের সঙ্গে ‘কালীঘাটের কাকু’র স্বরের নমুনা মিলিয়ে দেখতে চায়। তদন্তকারীরা আরও দাবি করেছেন, মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে পুরনো যোগাযোগের কথা অস্বীকার করেছিলেন কালীঘাটের কাকু। কিন্তু জেরার মুখে ইডির প্রমাণের মুখে তিনি স্বীকার করে নেন ২০১৮ সাল থেকে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যকে চেনেন। ইডির দাবি, টাকার বিনিময়ে বহু প্রার্থীকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন কালীঘাটের কাকু। সেই প্রার্থীদের টেটের অ্যাডমিট কার্ড, রেজাল্ট পাঠিয়েছিলেন মানিককে। কিন্তু সেই তথ্য অস্বীকার করেছেন সুজয় ভদ্র। উলটে তদন্তকে ভুলপথে চালনা করার চেষ্টা করেছেন তিনি, দাবি ইডির।

[আরও পড়ুন: মনোনয়ন ঘিরে টানা অশান্তি, নবান্নে এসেও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হল না নওশাদের]

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement