মাসুদ আহমেদ, শ্রীনগর: গৃহবন্দি দশা থেকে মুক্ত হওয়ার পর ফের নতুন করে বিপাকে জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্স সুপ্রিমো ফারুখ আবদুল্লা (Farooq Abdullah)। এবার কাশ্মীরে ক্রিকেট কেলেঙ্কারি মামলায় তাঁর প্রায় ১২ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। ইডির এই পদক্ষেপকে কেন্দ্রের প্রতিহিংসামূলক আচরণ বলে ফের তোপ দেগেছেন আবদুল্লা। তাঁর পুত্র তথা জম্মু-কাশ্মীরের আরেক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমরের হুঁশিয়ারি, আদালতে এসবের নিষ্পত্তি হবে।
২০০৬ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে ব্যাপক দুর্নীতি হয় বলে অভিযোগ ওঠে। সেসময় অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন ফারুক আবদুল্লা। জানা যায়, এই কয়েক বছরে BCCI’এর থেকে জম্মু-কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অন্তত ১০৯.৭৮ কোটি টাকা পেয়েছিল। এত টাকা কীসের জন্য? এই মোটা অঙ্কের পিছনে কোনও দুর্নীতি থাকতে পারে, আঁচ করে তার তদন্ত শুরু করে ইডি। ২০১৮ সালে এই দুর্নীতিতে নাম জড়ায় আবদুল্লা পরিবারের। অ্যাসোসিয়েশনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পরীক্ষা করেও বেশ কিছু গরমিল ধরা পড়ে। এছাড়া আবদুল্লা সভাপতি পদে থাকাকালীন বেশ কিছু অবৈধ নিয়োগ হয়েছে, নথিতে তার প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি ইডি কর্তাদের।
[আরও পড়ুন: মানহানির মামলায় অপদস্থ হওয়ার ভয়! অজিত দোভালের ছেলের কাছে ক্ষমা চাইলেন জয়রাম রমেশ]
এরপর শনিবার ইডি আধিকারিকরা এই আর্থিক অসংগতি মামলায় ফারুক আবদুল্লার ১১.৮৬ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেন, যার মধ্যে তিনটি আবাসন এবং চারটি জমি রয়েছে। ভাতিন্ডি, সুনজওয়ান গ্রামে ফারুক আবদুল্লা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি থাকাকালীন বনাঞ্চলের জমি দখল করে আবাসন তৈরি করেছিলেন বলে অভিযোগ। এছাড়া ২৫ কোটি টাকা লেনদেনের কোনও বৈধ নথি মেলেনি। যদিও এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ফারুক আবদুল্লা। বলেছেন, ”আমার মাথা নত করে দেওয়ার জন্য এসব চক্রান্ত। ইডি তাদের কাজ করেছে, আমি আমার কাজ করব।”