সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাংবাদিক রানা আয়ুবের বিরুদ্ধে তহবিল তছরুপের অভিযোগ আনল ইডি (ED)। বুধবারই উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) গাজিয়াবাদের এক আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
২০২১ সালে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ তাঁর নামে একটি এফআইআর দায়ের করেছিল। সেই অভিযোগের তদন্তভার পেয়েছিল ইডি। অবশেষে জমা দেওয়া হল চার্জশিট। কিন্তু ঠিক কী অভিযোগ রানার (Rana Ayyub) বিরুদ্ধে? চার্জশিটে বলা হয়েছে, ওই মহিলা সাংবাদিক কেটো নামের এক ক্রাউড ফান্ডিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বহু লোকের থেকে টাকা তুলে প্রতারণা করেছেন। প্রথমে টাকা তাঁর বাবা ও বোনের অ্যাকাউন্টে জমা পড়ত। সেখান থেকে তা নিজের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করতেন রানা।
[আরও পড়ুন: ২০২০ দিল্লি হিংসা: দু’বছর গা ঢাকা দিয়েও শেষরক্ষা হল না, ধৃত IB কর্তার ‘খুনি’]
অভিযোগ, অসমের বন্যাত্রাণ থেকে করোনা আক্রান্তদের সাহায্য করা, নানা উদ্দেশ্যে ওই ফান্ডিংগুলি শুরু করেছিলেন তিনি। এই ভাবে সব মিলিয়ে ২ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকা তিনি জোগাড় করেছিলেন। এর মধ্যে বিদেশি মুদ্রায় পেয়েছিলেন ৮০ লক্ষ ৪৯ হাজার টাকা। দেখা গিয়েছে, ওই ফান্ডের টাকা থেকে ৫০ লক্ষ টাকার একটি স্থায়ী আমানত করেছিলেন তিনি। এছাড়াও নতুন একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে সেখানেও ৫০ লক্ষ টাকা জমা রেখেছিলেন। এর মধ্যে ২৯ লক্ষ টাকা ত্রাণের কাজে ব্যবহার করেছিলেন। সব মিলিয়ে ১ কোটি ৭৭ লক্ষ তাঁর নামে জমা থাকার অভিযোগ এনেছে ইডি।
এবছরের মার্চেই লুকআউট নোটিশ জারি হয়েছিল অভিযুক্ত রানার বিরুদ্ধে। নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তাঁর বিদেশে যাওয়াতেও। উল্লেখ্য, বরাবরই মোদি-শাহর কড়া সমালোচক রানা। এর মধ্যে গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে গবেষণার জন্য তিনি প্রসিদ্ধ। সেই গবেষণাপত্রটির নাম ‘গুজরাট ফাইলস’। এবার সেই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযোগ আনল ইডি। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রানা। তিনি এর আগে একটি বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, যত টাকা জমা পড়েছিল তার সবেরই হিসেব রয়েছে। কোনও ভাবেই ওই টাকা আত্মসাৎ করার সুযোগ নেই।